চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক্স নভেল করোনাভাইরাসের যে টিকা উদ্ভাবন করেছে, বাংলাদেশের মানুষের দেহে তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়ে আমাদের সরকার সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। কারণ, কোভিড–১৯ মহামারি মোকাবিলার সরকারি উদ্যোগগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয়নি, সর্বাধিক মাত্রায় সংক্রমিত এলাকাগুলোসহ কোথাও লকডাউন ঠিকভাবে কার্যকর হয়নি; সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টিতে সাধারণ শিথিলতা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে কোভিড–১৯ মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে টিকাই সর্বশেষ ভরসা হিসেবে কাজ করবে। তাই বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা এখনকার অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
এ পথে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি। কারণ, এর ফলে বাংলাদেশের টিকা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিকে অনুমতি দেওয়ার ফলে বাংলাদেশ সিনোভ্যাক্সের এক লাখ টিকা ও টিকাসামগ্রী বিনা মূল্যে পাবে। এ ছাড়া ওই কোম্পানির কাছ থেকে টিকা কেনার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। এখন প্রয়োজন চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা।