ইউরোপ যেন সাক্ষাৎ বিভীষিকা! বার্সেলোনার এখন তা-ই মনে হতে পারে। সেই ২০১৫ সালে সর্বশেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল, এরপর বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে একরাশ হতাশা নিয়েই ঘরে ফিরছেন মেসি-সুয়ারেজ-পিকেরা। যার নবতম সংস্করণ, লিসবনের স্তাদিও দা লুজে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়া। এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় আর কীই–বা হতে পারে?
এদিক-ওদিক দোষারোপ চলছে কোথাও। কেউ কোচের দোষ খুঁজে বের করছেন, কেউবা বোর্ডের, আর কেউ দায় চাপাচ্ছেন খেলোয়াড়দের ঘাড়ে। বার্সার এখন সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ কোথায় দেবে তা-ই যেন বের করা ভার। বার্সার ড্রেসিংরুমে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ যিনি, সেই ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের আত্মবিশ্লেষণ—বার্সেলোনা তলানিতে পৌঁছে গেছে। ক্লাবকে খোলনলচে বদলাতে হবে। তাতে যদি তাঁর সরে যেতে হয়, তাহলে ক্লাব ছেড়ে যেতেও তৈরি পিকে।