জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:৩৭

.tdi_2_33e.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_33e.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});‘যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা, গৌরী যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন। স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল বিপথগামী একদল সেনাসদস্য। পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এই দিনে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। বাঙালিকে চিরকাল এই দুর্মোচনীয় কলঙ্কের ভার বইতেই হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছিলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে। দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই। একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’ ১৫ই আগস্ট দিনটি বাঙালি জাতির জন্য বড় বেদনার। ইতিহাসের জঘন্য ও নৃশংস এক হত্যাকাণ্ড এটি। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সকালে সূর্য উদিত হলেও বাংলার আকাশে জমেছিল ঘোর কালো মেঘ। বর্বর হায়েনার দল সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বাঙালির দর্শন, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে কুচক্রীরা মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল, ১৯৭১ সালে। তার তিন বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশের মর্যাদা পায়। আট দিন পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালির মহানায়ক আরোহণ করেন বক্তৃতা মঞ্চে। বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা শুরু করেন মাতৃভাষা বাংলায়। তিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে আবার ঠাঁই করেছিলেন। এর আগে ১৯১৩ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী জেনেছিল বাংলা ভাষার অমূল্য আবেদন। স্বস্তির ব্যাপার হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বিচার হয়েছে চার জাতীয় নেতাদের হত্যাকারীদেরও। মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে তারাও দণ্ডিত হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনো চলমান। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে বার বার প্রধানমন্ত্রী করেছে। তিনি অক্লান্তভাবে দেশ ও দশের সেবা করে চলেছেন। আমরা এখন দ্বিধাহীন ভাবে বলতে পারি দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। তিনি চান দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে। আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দর্শন, আদর্শকে আঁকড়ে ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পথে চলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আজ নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ রয়েছে। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা মনে করি, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরমাত্মীয়। শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, তিনি ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা। বঙ্গবন্ধু বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। বাঙালির জাতির পিতা’।.tdi_3_388.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_388.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us