.tdi_2_145.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_145.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); বছর ঘুরতেই শোকাবহ আগস্ট আবার হৃদয়ে দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে শোককাতরতায় সমর্পিত হয়েছে। একদিকে মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর আনন্দঘন উদ্যাপন; অন্যদিকে অতিমারি করোনার বিপর্যস্ত ক্রান্তিকালে শোকের মাসের তাৎপর্য ভিন্ন মাত্রিকতায় বাঙালি জীবনে উপস্থাপিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কুৎসিত মোড়কে প্রায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নির্মম-নিষ্ঠুর ও ঘৃণ্য কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে মানব সভ্যতার ইতিহাসে। এটি সর্বজনবিদিত; দৃঢ়চেতা-অন্যায়ের সাথে আপোষ না করা – বাঙালির অধিকার আদায়ে তেজোদীপ্ত নির্ভীক সাহসীকতায় পরিপুষ্ট এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম না হলে বাঙালি জাতিসত্তার বিকশিত হওয়ার নির্ভার ক্ষেত্র রুদ্ধ হয়ে যেত এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় অসম্ভবই ছিল। স্বীয় নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যথার্থ সার্থক ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী প্রায়োগিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিধ্বস্ত দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে মেধা-প্রজ্ঞা-জ্ঞাননির্ভর কর্মকৌশলে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতকে টেকসই সমৃদ্ধকরণে অদম্য দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের প্রাক্কালেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ঘৃণ্য, জঘন্য, কলঙ্কময় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ ও দেশবাসীর উপর বঙ্গবন্ধুর অবিচল আস্থা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার অত্যুজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ‘সত্য-কবি’ কবিতার উপস্থাপনে এই পরম সত্যটি যেন বার বার সমগ্র বাঙালি জাতিসহ বিশ্ববাসীর বিবেক ললাটে দীপিত তিলক হিসেবেই চিহ্নিত। ‘অসত্য যত রহিল পড়িয়া, সত্য সে গেল চ’লে/ বীরের মতন মরণ-কারারে চরণের তলে দ’লে।/ যে-ভোরের তারা অরুণ-রবির উদয়-তোরণ-দোরে/ ঘোষিল বিজয়-কিরণ-শঙ্খ-আরাব প্রথম ভোরে,/ রবির ললাট চুম্বিল যার প্রথম রশ্মি-টীকা,/বাদলের বায়ে নিভে গেল হায় দীপ্ত তাহারি শিখা !/ মধ্য গগনে স্তব্ধ নিশীথ, বিশ্ব চেতন-হারা,/ নিবিড় তিমির, আকাশ ভাঙিয়া ঝরিছে আকুল-ধারা,/ গ্রহ শশী তারা কেউ জেগে নাই, নিভে গেছে সব বাতি,/ হাঁক দিয়া ফেরে ঝড়-তুফানের উতরোল মাতামাতি !’ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রায় সকল সদস্যদের শাহাদাত বরণের ঘটনায় প্যারিসের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘লা মঁদে’ (খব গড়হফব) রবার্ট এসকারপি নামে এক লেখকের মন্তব্য ছিল – ‘বড়নেতা সেই যে সময়ের সাথে সাথে আরও বড় হতে থাকে। তাঁকে খুন করে সমাজ থেকে নির্বাসিত করা যায় না। সে বারং বার ফিরে আসে। প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই মাপের নেতা’। ইতিহাসের স্রোত যে বিকল্প কোন অপকৌশলে শাসক-শক্তির ইচ্ছের অনুকূলে প্রবাহিত করা যায় না অথবা ইতিহাস যে কারো ক্রীতদাস নয়, সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় ইতিহাসে বারবারই সেই অমোঘ সত্যই প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য- ‘ইতিহাসের শিক্ষাই হচ্ছে এই যে; কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না’। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব – তিনি শুধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, অনন্যসাধারণ এক ঐক্যের বন্ধনে বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করে হাজার বছরের বাঙালি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগে ও পরে বহু খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ এসেছেন কিন্তু এমন করে কেউ বাঙালিকে জাগাতে পারেন নি। তাই বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি তাঁকে ইতিহাস থেকে নিরাকার করাও অশ্রুত। ভারতের মহাত্মা গান্ধী, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, চীনের মাও সেতুং, ভিয়েতনামের হো চি মিন, কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, ঘানার পেট্রিস লুমাম্বা ও কওমী নক্রুমা, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিন, যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটোর মতো বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাঁর অবদানের জন্য বিশ্ব- ইতিহাসের এক অনিবার্য স্থান সান্দ্র সমাদৃত করে আছেন। এটিও সত্য যে, ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য ড. আদম মালিক নয়, মহান স্বাধীনতা আন্দোলন সংঘটনের জন্য জাতির পিতা হিসেবে সুকর্ণই প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৬ই আগষ্ট লন্ডনের ‘দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ উচ্চারণ করেছিল, “এই করুণ মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে অবধারিত ছিল তাহলে বাংলাদেশের জন্মের মোটেই প্রয়োজন ছিল না”। ১৯৭৫ এর ২৮ আগষ্ট তারিখে লন্ডনের ‘দি লিসনার’ পত্রিকায় বিবিসির সংবাদদাতা ব্রয়ান ব্যারন এর ভবিষ্যতবাণী- “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে উচ্চতর আসনেই অবস্থান করবেন। তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহটি গুরুত্বপূর্ণ ‘স্মারক-চিহ্ন এবং কবরস্থানটি পূণ্যতীর্থে’ পরিণত হবে” আজ সত্যবাণীতে পরিণত হয়েছে। মহাননেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন-চরিত, আদর্শিক ও দার্শনিক চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন প্রতিটি বাঙালির এবং বিশেষ করে প্রজন্মের শিশু-কিশোর-তরুণদের হৃদয় গভীরে সঞ্চরণ করা না গেলে বঙ্গবন্ধু অনেকটুকু অনাবিষ্কৃতই থেকে যাবেন। এজন্যই কিছু কিছু স্মরণযোগ্য বিষয়ের অবতারণা এখনো সময়ের দাবি। জুন ২০১২ সালে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের ১২৬ পৃষ্ঠা থেকে বঙ্গবন্ধুর কিছু বক্তব্য ও বক্তৃতার উদ্বৃতি নিবন্ধের প্রাসঙ্গিকতায় উল্লেখ করতে চাই। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জনগণ যখন বঙ্গবন্ধুদের মত তরুণ নেতাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করত যে, দেশ স্বাধীন হয়েছে তবু মানুষের দুখ-কষ্ট দূর হবে না কেন? দুর্নীতি বেড়ে গেছে। খাদ্যভাব দেখা দিয়েছে। বিনা বিচারে রাজনৈতিক কর্মীদের জেলে বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মুসলিম লীগ নেতারা মানবে না। পশ্চিম পাকিস্তানে শিল্প কারখানা গড়া শুরু হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। রাজধানী করাচি। সব কিছুই পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব বাংলায় কিছু নাই। এইসব বিষয়সমূহ বঙ্গবন্ধু যখন তাঁর শ্রদ্ধাভাজন পিতাকে বলতেন; পিতার জবাব ছিল “আমাদের জন্য কিছু করতে হবে না। তুমি বিবাহ করেছ, তোমার মেয়ে হয়েছে, তাদের জন্য তো কিছু একটা করা দরকার।” বঙ্গবন্ধু বাবাকে বলতেন “আপনি তো আমাদের জন্য জমিজমা যথেষ্ট করেছেন, যদি কিছু না করতে পারি বাড়ি চলে আসব। তবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া চলতে পারে না।” দেশের মাটি ও মানুষকে অন্তরে নিগূঢ় ধারণের মহান নেতার এমন মনীষা বিশ্ব ইতিহাসে প্রকৃত অর্থেই বিরল। জীবনে বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার উৎকর্ষতা অর্জন-লগ্ন থেকে আত্মত্যাগের মহিমান্বিত যে ধারাবাহিক পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু নিজেকে ঋদ্ধ করেছিলেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তার যথার্থ স্বাক্ষর বঙ্গবন্ধুকে আজ বিশ্বদরবারে ‘চিরঞ্জীব’ মর্যাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ১১ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু কুমিল্লাস্থ সামরিক একাডেমীতে প্রথম শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেন্টেলম্যান ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। দেশ থেকে সর্বপ্রকার দুর্নীতি উচ্ছেদ করার তাঁর সংকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে দুঃখী মানুষ দিনভর পরিশ্রম করে, তাদের পেটে খাবার নেই, গায়ে কাপড় নেই, বাসস্থানের বন্দোবস্ত নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার। পাকিস্তানীরা আমাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। কাগজ ছাড়া আমাদের কারও জন্য কিছু রেখে যায়নি। আমাকে বিদেশ থেকে ভিক্ষে করে সব জিনিস আনতে হয়। কিন্তু চোরের দল সব লুট করে খায়, দুঃখী মানুষের সর্বনাশ করে। এবার আমি শুধু জরুরি অবস্থাই ঘোষণা করিনি। আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, বাংলাদেশের মাটি থেকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর আর চোরাচালানকারীদের নির্মূল করবো।” বাংলাদেশের আর এক শ্রেণীর মানুষের কার্যকলাপ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, “আর একদল লোক আছে, যারা বিদেশীদের অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে চায়। তারা রাতের অন্ধকারে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। একটি লোক কেমন করে যে পয়সার লোভে মাতৃভূমিকে বিক্রি করতে পারে, তা ভাবলে আমরা শিউরে উঠি। যারা বিদেশের আদর্শ বাংলাদেশে চালু করতে চায়, এ দেশের মাটিতে তাদের স্থান হবে না।” স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন মনমানসিকতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু এরপর বলেন, “মনে রেখো, তোমাদের মধ্যে যেন পাকিস্তানী মনোভাব না আসে। তোমরা পাকিস্তানীদের সৈনিক নও, বাংলাদেশের সৈনিক। তোমরা হবে আমাদের জনগণের। তোমরা পেশাদার বাহিনীও নও, কেবল সামরিক বাহিনীও নও। দরকার হলে তোমাদের আপন হাতে উৎপাদন করে খেয়ে বাঁচতে হবে।” পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। এ স্বাধীনতা নিশ্চয়ই টিকে থাকবে। একে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটতে না পারলে এ স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে।” বাংলাদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর ভাষায়, ‘১৫ আগস্ট সর্বার্থেই এক শোকের দিন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু ছিল আস্বাভাবিক। তিনি নিহত হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীদের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা একদল নিষ্ঠুর ঘাতকের হাতে। এই ঘাতকেরা ভেবেছিল, দাবী করেছিল, তারা দেশোদ্ধারের এক মহৎ কাজ সম্পন্ন করেছে; আশা করেছিল তাদের এই বীরোচিত কাজের জন্য তারা সারা দেশের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা অর্জন করবে। প্রশংসা তারা অর্জন করেছে গোষ্ঠী বিশেষের। আর ধিক্কার অর্জন করেছে অধিকাংশ দেশবাসীর। এই ঘাতক দলের বর্বরতায় যারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে, তাদের জন্য একটা দুরূহ সমস্যাও রেখে গিয়েছে তারা।’ মূলত: উল্লেখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, সুবিধাভোগীরা যতই ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থ করুক না কেন; বাংলাদেশকে অকার্যকর করার এবং বঙ্গবন্ধুর বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ও শোষণহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অভূতপূর্ব রাষ্ট্র দর্শনকে খন্ডিত ও কলুষিত করে দেশবাসীকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা বিরাজমান রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বাঙালি বরাবরই বীরের জাতি। সততা-সত্যবাদিতা-নৈতিকতা-ধার্মিকতা-মানবিকতা ইত্যাদির বৈশিষ্ট্যসমূহ ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন-সমাজ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। অন্ধকারের সকল অশুভ শক্তিকে নিধন করে বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় এতবেশি পরিশুদ্ধ; তাতে কেউ কখনো কোন ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কালো চাদরে ম্লান করতে পারবেনা। এই নিখাদ বিশ্বাস ও নিস্তরণ দৃঢ়তার নিরন্তর সাহসীক ঠিকানা বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়া। আজকের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং ঢাকা বনানী গোরস্থানে চিরশায়িত বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদানদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।.tdi_3_f77.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_f77.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});