বন্যাকে পুুুঁজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:২৭

.tdi_2_c03.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_c03.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরেও বেড়েছে চালের দাম। কোরবানির ঈদের পর হঠাৎ বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির পর মিল মালিকরা কারসাজি করে চালের বাজার অস্থির করে তোলার পাঁয়তারা করছেন। অথচ ধানের দাম ওই অর্থে বাড়েনি। তবে চালের বাজারের লাগাম টানতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিচ্ছে এমন খবরে বাজার স্থিতিশীল হয়ে উঠে। তাই গত তিনদিন চালের দাম বাড়েনি। উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় বন্যার কারণে আউশ ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু মিল মালিকরা বন্যাকে পুুুঁজি করে চালের দাম বাড়িয়ে দেন। এছাড়া বর্তমানে ধানের দামও নিম্নমুখী রয়েছে। নগরীর চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবাানির ঈদের পর থেকে নাজিরশাইল, জিরাশাইল (সিদ্ধ), মিনিকেট (সিদ্ধ), বাসমতি (সিদ্ধ), স্বর্ণা (সিদ্ধ), বেতি, পাইজাম (আতপ), মিনিকেট (আতপ), কাটারীভোগ আতপ ও মোটা সিদ্ধ বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের পর পর জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ২৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ২৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধ ১৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকায়। অপরদিকে মিনিকেট আতপ ১৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়, নাজিরশাইল সিদ্ধ ১৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। এছাড়া কাটারিভোগ আতপ ১০০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, এবং পাইজাম আতপ ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চিনিগুড়ার দাম। বর্তমানে প্রতিবস্তা চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকায়। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, কোরবানি ঈদের পর পর কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা। অথচ চালের মোকামগুলোতে ধানের কোনো সংকট নেই। ধানের দামও তেমন বাড়েনি। তবে সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এমন সংবাদের জেরে বাজার দুই তিন দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চালের দাম বাড়ার পেছনে উত্তরাঞ্চলে বন্যার কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া ধানের দামও কিছুটা বেড়েছে। যদি এখন কমতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাজধানীতে এক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আপাতত দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। এবার বন্যায় আউশ ও আমন কি পরিমাণ হয়েছে এবং তার বিপরীতে উৎপাদনসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চলমান বন্যায় আউশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমন ধানও অনেকক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। খরার কারণে অনেক সময় উৎপাদন আশানুরূপ হয় না। এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে যদি আমনের ফলন ভালো না হয়, বন্যা প্রলম্বিত হয়, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ঠিকমতো কাটিয়ে ওঠা না যায়, তবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।.tdi_3_5c4.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_5c4.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us