কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দ্বীন ইসলাম নামের একজন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ই জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও রহস্যজনক কারণে এখনো তাকে নিয়োগ দিচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সমাধান পাননি তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে গত ৯ই আগস্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ ২২ জনকে বিবাদী করে কিশোরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। দ্বীন ইসলাম উপজেলার চরতেরটেকিয়া গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, উপজেলার চরতেরটেকিয়া মৌজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগের জন্য গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রেক্ষিতে দ্বীন ইসলামসহ ১১ জন প্রার্থী ওই পদে আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী গত ৬ই জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত এস.ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় দ্বীন ইসলামসহ ৭জন প্রার্থী অংশ নেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে দ্বীন ইসলাম ৩৭.৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম হন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের এক মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে তাকে এখনো নিয়োগ দিচ্ছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দ্বীন ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার ফলাফল পেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে যাই। এ সময় তারা আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আমাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা সারোয়ার উৎকোচ দাবি করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়ার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাই কমিটির কেউ তাকে নিতে চাচ্ছে না। তবে বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম সাইফুল আলম বলেন, নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। তবে নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির।