খেলাপি ঋণের বৈশ্বিক প্রমিত মান যেখানে ২ শতাংশ বা তার নিচে, সেখানে বাংলাদেশে তা পাঁচ-ছয় গুণ বেশি। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বড় একটি সমস্যা। খেলাপি বা কুঋণ বলতে বোঝায় এর আগে সরবরাহকৃত ঋণ ফেরত না পাওয়া। এটা সত্যি যে সরবরাহকৃত ঋণের একটি নির্দিষ্ট অংশ সাধারণত কুঋণ হিসেবে পরিগণিত হয় এবং তা মোট ঋণের একটি অনুপাতে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ হার কমবেশি ১১ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা ঋণ দিয়ে ব্যাংক ১১ টাকা ফেরত পাচ্ছে না। ব্যাংক যদি কমবেশি ১০ শতাংশ সুদে ঋণদান করে, তবে সার্বিকভাবে নেট লোকসানের মুখে পড়ে। ব্যাংকিং খাতে অনাদায়ী পাওনা, খেলাপি বা কুঋণ যেভাবেই বলা হোক না কেন, এর মূল কারণগুলো উদ্ঘাটনে অতীতের ন্যায় বর্তমানেও তাই গবেষণা থেমে নেই।