শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৌলাছড়া চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত স্ত্রী অলকা তন্ত রায় (৩৫) ও স্বামীর নাম বিকুল তন্ত বায় (৪০) বলে জানা গেছে।পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার জের ধরে রাতের কোন এক সময় স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতদের বড় মেয়ে সুভা তন্ত বায় (১২) জানায়, রাতে সে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে মা বাবার ঘরে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে মায়ের গলা কাটা দেহ ও পাশে বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখে। সুভা জানায়, তার বাবা মার মধ্যে কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল না। সুভার দেবা তন্ত রায় নামে ৬ বছরের এক ভাই ও দেবী তন্ত বায় নামে ২ বছরের এক বোন রয়েছে। বাবা মায়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই তিন শিশুসন্তান শোকে বিহবল হয়ে পড়েছে। নিহত বিকুলের বড় ভাই এর স্ত্রী রতœা তন্ত বায় (৪২) জানায়, সকালে সুভার চিৎকারে শুনে গিয়ে মেঝেতে অলকার রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখেন। পাশে ঝুলে থাকা দেবরের লাশ দেখেন। তিনিও অলকা বিকুল দম্পত্তির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ছিল না বলে জানান। এদিকে এটি স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড- এনিয়ে এলাকায় গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জিত সাঁওতাল বলেন, স্ত্রী অলকা মির্জাপুর চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, স্বামী বিকুল বন থেকে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিকুল অলকার সংসারে কোন কলহের কথা তিনি জানতেন না। তিনি বলেন, কোন ঝগড়া বিবাদ হলে পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক হিসেবে তার কাছে নালিশ আসতো। কিন্তু এ নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জোড়া লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা’ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর এই জোড়া হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে তিনি জানান।