পানিতে প্রাণ গেল আরো ১১ জনের

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সারা দেশে গতকালও পানিতে ডুবে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর  মধ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৩ জন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২ শিশু, বানিয়াচংয়ে বাবা-ছেলে, মানিকগঞ্জে ২ ও শাহজাদপুরে ২ জন রয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অনেকে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-  দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা সাহেবনগর এলাকায় বন্যার পানিতে ডিঙি নৌকা ডুবে মা সেলিনা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে সিয়াম (১১) এর মৃত্যু হয়। এ সময় সেলিনার বাবা রসুল মণ্ডল (৬২) ও সেলিনার ছোট ছেলে সাগর (৯) সাঁতরিয়ে প্রাণে বাঁচে। অপরদিকে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে তামান্না (১০) নামে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তামান্না আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে পানিতে ডুবে আবু বকর (০৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের জহুর আলী মুন্সীর ছেলে। অপরদিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামে সাকিব (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে ওই গ্রামের ফিরোজ ফকিরের ছেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে ডোবার পানির মধ্যে পৃথক স্থান থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্বার করা হয়। বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নে নৌকাডুবির ১দিন পর হাওরে বাবা ছেলের লাশ ভেসে উঠেছে। গতকাল ভোরে এলাকাবাসী ভেসে ওঠা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাবা ছেলের লাশ উদ্বার করে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার নৌকাডুবির এ ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল দীর্ঘ সময় উদ্ধার কাজ চালিয়ে ১ জনকে মৃত ও ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অনেক খোঁজাখঁজির পরও আলী নূর (৩৮) ও তার শিশুপুত্র খোকন (৭) কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল ভোর ৫টার দিকে হাওরে ভেসে উঠলো বাবা ছেলের মরদেহ। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মতিউর রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নৌকাডুবির ঘটনায়  নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে উপজেলার চরমাস্তল এলাকায়। ঈদের সময় আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোট ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী জানান, আব্দুল হক ঈদের আগে সাভার থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দৌলতপুর উপজেলার আবুডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর মামুদ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে একই উপজেলার চরমাস্তল গ্রামে ভায়রা ভাই (স্ত্রীর বোনের স্বামী) সেলিমের বাড়িতে নৌকাযোগে বেড়াতে যান। নৌকা কিছুদূর যাওয়ার পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঝড়ো হাওয়ায় নৌকা ডুবে যায়। নৌকার ৯ জনের মধ্যে ৪ জন সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ৫ জন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রোকসানা, জিয়াউল হক জিয়া ও হনুফা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকালে নৌকাডুবির স্থান থেকে বেশ কিছু দূরে নিখোঁজ থাকা মিথিলা ও শান্তর লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের লাশ উদ্ধার করে। শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে নৌকা ডুবে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে নৌকাযোগে পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার সুজা গ্রামে এক কবিরাজ বাড়ীতে যাওয়ার সময় প্রচন্ড বাতাসের তোড়ে নৌকা ডুবে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাকী ৬ জন সাঁতরিয়ে প্রাণে বাঁচলেও এখনো দুটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us