হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ ২০১২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ইস্যুতে পিটার স্টারন্সের ‘দি হিস্টরি অফ হ্যাপিনেস’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করে যেখানে তিনি সুখ সম্পর্কিত খানিক ইতিহাস তুলে ধরেন যার একটি অংশে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুখের ধারণার ব্যবহার সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনা পাওয়া যায়। সুখী-সুখী ভাব দেখানো বা সুখের বহিঃপ্রকাশ অনেক কাল যাবৎ সামাজিক বা সাংস্কৃতিকভাবে অনেক দেশে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া, রাশিয়াসহ কিছু অঞ্চলে ব্যক্তিত্বের ঘাটতি হিসেবে দেখা হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পরপর নতুনভাবে তার পরিচয় প্রকাশের জন্য সুখের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণকে একটি পথ হিসেবে বেছে নেয়। তখন থেকেই দেখা যায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে খুশি থাকার কথা বলা হচ্ছে বা তাদের পণ্য কিভাবে মানুষকে আনন্দ দেবে বা খুশি রাখবে তার রঙচঙে প্রকাশ। এই ধরনের আলাপের সঠিক বাস্তবতা নিরূপণ সব সময় বেশ কষ্টসাধ্য কেননা এত আগে মানুষের পার্সোনালিটি ট্রেইট বা অন্য কোন ব্যক্তিত্ব নির্ধারক পরীক্ষা বেশ জটিল। তবে এই লেখার অংশবিশেষ সুখকেন্দ্রিক ব্যবসায়িক প্রচারণায় ডিসনির ভূমিকা নিয়ে যে আলোকপাত সূচনা করে তার প্রমাণ পাওয়াটা কঠিন নয় যেমন কোকাকোলার অনেকগুলো বিজ্ঞাপনের একটি বলতো ‘Open happiness’।