রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে গণমাধ্যম পাড়া। সর্বত্র ছিল তার যাতায়াত। নানা পরিচয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচয় দিতেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে। বিভিন্ন টেলিভিশনের টক-শো অনুষ্ঠানেও এই পরিচয়ই ব্যবহার করতেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধে তার হাসপাতাল ও প্রধান কার্যালয় সিলগালা হওয়ার পর এখন তার সব পরিচয়ই ‘ভুয়া’ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ নামে প্রতারণায় অভিযুক্ত এই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের সদস্য নন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে আসা সাহেদের ওই কমিটিতে থাকার সুযোগ নেই। খসড়া কোনো কমিটিতেও তার নাম নেই।