১৯৭২ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তীব্র পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯৭২ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখের সব পত্রিকায় আগের দিন তার অসুস্থ হওয়ার খবর ছবিসহ প্রকাশ করা হয়। কুমিল্লা থেকে ফেরার পরে শেষ রাতে তার পেটের ব্যথা শুরু হয় বলে খবরে উল্লেখ বলা হয়। তবে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলেও জানা যায়।
খবরে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম তাকে কয়েকদিনের জন্য পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে বিরক্ত না করার জন্য তিনি সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অনুরোধ করেন।
বঙ্গবন্ধুর অসুস্থতার খবর পেয়ে ১৯৭২ সালের ৬ জুলাই সকালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য তার ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে যান। তিনি আধঘণ্টা ধরে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল মালেক উকিলও বঙ্গবন্ধুকে দেখতে যান।
এদিকে সামনে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (সিদ্দিক-মাখন) ৩ দিনব্যাপী সম্মেলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্বোধন করবেন বলেও সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সিন্ধি-বালুচ-পাঠানের মুক্তি আন্দোলনে সমর্থনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান পাকিস্তানের নিপীড়িত মানুষদের স্বাধিকারের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানান।
১৯৭২ সালের ৫ জুলাই এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সিন্ধি বালুচ পাঠানে শোষণ চালাচ্ছে। এই একই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ পাঞ্জাবি শ্রেণির সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান গণতন্ত্রের মুখোশ পরে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসন বহাল রেখেছে এবং স্বাধিকার সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দিতে তৎপর রয়েছে। পাকিস্তানি সমর নায়কেরা সিন্ধি বেলুচ পাঠানদের উপর যে নির্যাতন শুরু করেছে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে জিল্লুর রহমান জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই তিনটি প্রদেশ গণভোট অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেন।
দুষ্কৃতিকারী দমনে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বানসক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারী দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে জনগণের আহ্বান জানানো হয়েছে। অনুমোদনহীন অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ, চোরাই গাড়ি ও জিনিসপত্র এবং মজুতকৃত মালামাল খুঁজে বের করার ব্যাপারে ঢাকা নগর পুলিশ জনগণের সহযোগিতা কামনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশের সিনিয়র সুপারেনটেনডেন্ট কর্তৃক ইস্যুকৃত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ঢাকা নগরীর যে সমস্ত এলাকায় কারফিউ জারি করে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেখান থেকে অনুমোদনহীন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, চোরাই গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র এবং মজুতকৃত মালামাল অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ধরনের ঘটনা জানা থাকলে নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়