রাজধানীর ওয়ারীতে লকডাউন শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে এলাকাবাসীকে। তারা বলছেন, কন্ট্রোল রুমে কিভাবে যোগাযোগ করবো, আক্রান্ত কোন সাইডে বেশি কিংবা রাস্তায় বের হয়ে হাটাহাটি করা যাবে কিনা এসব সাধারণ তথ্য আমাদের দেওয়া দরকার ছিল। মানুষ কিভাবে এতদিন ঘরে থাকবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে গেছে বলেও জানান তারা। এলাকাবাসীর মতে লকডাউনটি সাধারণ জনগণের জন্য শুধু ভোগান্তি ছাড়া কিছুই নয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে রাজধানীর ওয়ারী এলাকাকে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউনের দুইদিন না যেতেই ওই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমান সময়ে এই লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই। আর ওই এলাকার কাউন্সিলর বলছেন, লকডাউন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। লকডাউন হলে কিছু অসুবিধা হবেই এটাই স্বাভাবিক।
রবিবার (৫ জুলাই) ওয়ারি’র হট কেক সার্ভিস গেটে দাঁড়িয়ে কথা হয় এলাকার স্থায়ী কিছু বাসিন্দার সঙ্গে। এলাকাবাসীর দেওয়া ছবি ও তথ্য থেকে জানা গেছে, লকডাউন এর মধ্যেও কিছু লোক রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। আবার কোনও কোনও প্রবেশপথ দিয়ে বাইরের লোক ভেতরে ঢুকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। কয়েকজনকে বাসার নিচে দাঁড়িয়েও আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে। আবার অনেককে পায়ে হেঁটে এলাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তের বাসায় বাজার নিয়ে যেতেও দেখা গেছে। তবে কোনও রিকশা চোখে পড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে তারা সন্তুষ্ট। তবে কিছু প্রাথমিক তথ্যের ঘাটতি আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, বলধা গার্ডেনের কাছে সিটি করপোরেশনের একটি ‘কন্ট্রোল রুম’ স্থাপন করা হয়েছে। সেই জায়গাটি চিনতে কোনও অসুবিধা না হলেও যেতে অসুবিধা হবে। কারণ ভেতরে কোনও রিকশা চলাচলের সুযোগ নেই। ভেতরে নেই চোখে পড়ার মতো কোনও ব্যানার, যেখান থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে কন্ট্রোল রুমে কল দেওয়া যেতে পারে।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মুশফিকা বলেন, লকডাউন কার্যকরী। কিন্তু শেষ সময়ে এসে এরকম একটা লকডাউনের কী প্রয়োজন সেটা আমি বুঝলাম না। যারা বাইরে যাওয়ার, তারা ৪ তারিখের আগেই চলে গেছে। তারা তো ২১ দিন পর আবার ফিরবেন। যারা রোগাক্রান্ত, তারা অন্য একটা এলাকায় গেছে। এখন সবকিছু বন্ধ, আমরা পড়েছি মহাবিপদে। লকডাউন যদি হবে মানুষ বাসার বাইরে কেন?’