বার্সেলোনা ছাড়ার খবরে মেসি ক্ষুব্ধ ও হতাশ

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৬:৪৩

যে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া থেকে বিস্ময় বালক হিসেবে তাঁর উত্থান, ফুটবল জীবনের সেই আঁতুরঘর কি সত্যিই ছেড়ে দিতে চাইছেন লিওনেল মেসি? এ নিয়ে স্পেন তো বটেই গোটা বিশ্বের ফুটবল মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বার্সেলোনার সঙ্গে সামনের বছরেই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে মেসির। একটি স্পেনীয় রেডিওর দাবি, চুক্তি নবায়নের আলোচনা বাতিল করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তা থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তিনি আর বার্সেলোনায় থাকতে চান না।

স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েছে এমন তথ্য যে, মেসির কথাতেই তাতা মার্তিনোর চাকরি গিয়েছিল। তাঁর কথাতেই নিয়ে আসা হয় বর্তমান ম্যানেজার কিকে সেতিয়েনকে। এ সব জল্পনা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না বার্সা মহাতারকা। স্পেনেরই কয়েকজন সাংবাদিকের লেখা থেকে জানা যাচ্ছে, এমন সব জল্পনা ছড়ানো নিয়ে এবং তাঁকে সর্বময় কর্তা সাজিয়ে ক্রমাগত খলনায়ক হিসেবে দেখানোর চেষ্টায় তিনি ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। সেই কারণেই বিকল্প পথের কথা ভাবতে পারেন। সমস্যা বেড়েছে আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে নিয়েও। নেইমারের বিকল্প হিসেবে অ্যাতলেতিকো ডি মাদ্রিদ থেকে নিয়ে আসা হয় গ্রিজম্যানকে। ফরাসি তারকা এখনও পর্যন্ত ছন্দে না থাকায় তাঁকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম একাদশে সেভাবে জায়গাও হচ্ছে না তাঁর।

বার্সা ছেড়ে যাওয়ার কথাও তিনি ভাবছেন, এমন খবর বেরিয়ে পড়েছে। গ্রিজম্যানকে নিয়েও খবর ফাঁস হয়েছে যে, মেসিই তাঁকে নিয়ে আসতে বলেন, কিন্তু এখন সেতিয়েনের মতোই সঙ্গ ত্যাগ করতে চাইছেন। এমন জল্পনা নিয়েও ক্ষুব্ধ মেসি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হচ্ছে, সুয়ারেজ এবং মেসির সঙ্গে সস্ত্রীক গ্রিজম্যানকে অনেকবারই নৈশভোজে দেখা গিয়েছে। তাঁদের তিনটি পরিবারের মধ্যেও খুব বন্ধুত্ব রয়েছে। গ্রিজম্যানকে ছন্দে ফেরানোর জন্য তাঁকে সারাক্ষণ অনুশীলনে সাহায্য করে যাচ্ছেন মেসি এবং সুয়ারেজ, এমন পাল্টা তথ্যও রয়েছে। মেসি মহলের সন্দেহ, ক্লাবের ভিতর থেকে খারাপ অভিসন্ধি নিয়ে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তাতে দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি আরও বেড়েছে। ম্যানেজার কিকে সেতিয়েনকে ঘিরেও উত্তাল পরিস্থিতি বার্সেলোনা ড্রেসিংরুমের। স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সেল্টা ভিগোর সঙ্গে ২-২ ড্রয়ের পরে ম্যানেজার সেতিয়েনের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি হয় বার্সেলোনার তারকা ফুটবলারদের। দু’তরফে সম্পর্ক এর পরেই তলানিতে পৌঁছেছে। তারকা ফুটবলারেরা কিকের রণনীতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। কিকে যার উত্তরে বলেন, তিনি নিজেও হতাশ যে, ফল তাঁদের পক্ষে যাচ্ছে না। অনেক আশা নিয়ে তিনি এসেছিলেন ক্যাম্প ন্যু-তে। প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার দায় তিনি নিতে প্রস্তুত। দল যদি মনে করে, তাঁর ফুটবল নীতিতে আর আস্থা রাখা যাচ্ছে না, তিনি সরে যেতে প্রস্তুত।

এর পরে সিনিয়র ফুটবলার, ক্লাবের প্রধান কর্তা বার্তোমেউ এবং সেতিয়েনের মধ্যে বৈঠক হয়। তাতে একসূত্রে কাজ করার অঙ্গীকারও হয়। বার্সেলোনায় সাংসারিক অশান্তি হলেই মধ্যস্থতা করার ব্যাপারে ওস্তাদ জেরার পিকে মাঠে নামেন। প্রত্যেককে বোঝান তিনিই। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বার্সেলোনায় শুরুর দিকে একবার শোনা গিয়েছিল, স্পেনে ভাল লাগছে না মেসির। সেই সূত্র ধরে এগিয়ে ইন্টার মিলান প্রায় সই করিয়ে ফেলেছিল তাঁকে।

১৫০ মিলিয়ন ইউরোর ‘বাই-আউট ক্লজ’ তো তারা মানতে রাজি ছিলই, সঙ্গে জানিয়েছিল, বেতন তিন গুণ করে দেবে। সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা বুঝিয়ে-শুনিয়ে রেখে দেন মেসিকে। সম্প্রতি স্পেনে আয়কর নিয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়া এবং সম্ভাব্য হাজতবাসের আতঙ্ক তৈরি হওয়ার পরেও একই সম্ভাবনা তৈরি হয়। পেপ গুয়ার্দিওলা ঠিক সেই সময়েই দায়িত্ব নিচ্ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির। প্রবল জল্পনা শুরু হয়, প্রাক্তন গুরুর কাছে কি ফেরত যাবেন মেসি? শেষ পর্যন্ত তিনি ক্যাম্প ন্যু-তেই থেকে যান। এবার কী হবে? প্রশ্ন ফুটবল দুনিয়ার। সেতিয়েন গেলে জাভি আসতে পারেন বলে স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমে খবর।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us