ফেরারি আসামির নেতৃত্বে বিএনপি এখন গভীর গর্তে

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৪:০২

অস্ত্র চালান ও ঘুষ নেওয়ার মামলায় এরইমধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। দণ্ডিত হয়ে লন্ডনে থাকায় আদালতের ভাষায় ফেরারি আসামি তিনি। আর তার নেতৃত্বে বিএনপি এখন গভীর গর্তে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এই বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে তা বোধ হয় বিশ্বের কোনো যুক্তিবাদী মানুষই বলবেন না। তাছাড়া দেশের মানুষ এই দলের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে তাদের কর্মকাণ্ডে কারণে। একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর আর আস্থা রাখতে পারেছে না।

তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলের জন্য নেতা ও নেতৃত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্নীতি আর নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে দল কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এখন বিএনপি। তাই চারদিকে কথা উঠেছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির জন্য এখন বোঝা নাকি সম্পদ। 

২০০১-২০০৬ মেয়াদে তারেক রহমানের হাওয়া ভবন বিএনপির জন্য ভয়ঙ্কর অভিশাপ হয়ে সারাজীবন তাড়া করবে। আর ২০১৫ সালে লাগাতার ৯২ দিন অবরোধের নামে জামায়াত-বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে গর্ভবতী নারীসহ প্রায় দুই শতাধিক নিরীহ মানুষ নিহত এবং আরো কয়েকশ মানুষ আগুনে পুড়ে যায়। সেই ইতিহাস মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি। এই অপকর্মই বিএনপিকে শেষ করে দিয়েছে। হাওয়া ভবন কতখানি ক্ষতি করেছে দেশের সব মহল তা জানে। তার একটি বড় প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি বার্তা।

পরবর্তীতে উইকিলিকসের মাধ্যমে বার্তাটি ফাঁস হয়, যার বিবরণ ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের মূল স্রোতের কয়েকটি পত্রিকাতেও ছাপা হয়। ওই বার্তায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ক্ষমতার যথেচ্ছা অপব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল। যা উইকিলিকস সূত্রে পত্রিকায় খবর ছাপা হয়। 

২০০১-২০০৬ মেয়াদে অলিখিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান। তিনি এমন একটি কর্মও করেননি যাতে দেশে-বিদেশে সামান্য হলেও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়। দেশের সুনাম ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী দল, একাত্তরের ঘাতক জামায়াতের সঙ্গে জোট বেধে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার পথ বেছে নিয়ে ছিলেন। অবাক হয়ে সারাবিশ্ব দেখল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই বর্বরতা। ২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিলে সংঘটিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলা, জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার মামলায় এরইমধ্যে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান এখন লন্ডনে আছেন। তিনি এখন আদালতের ভাষায় ফেরারি আসামি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us