দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনে ৯১ স্থাপনায় লার্ভা, জরিমানা দেড় লাখ
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১৭:২২
নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশেষ কয়েকটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম পর্যায়ের অভিযান শেষে আজ (৪ জুলাই) থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার প্রথম দিন ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে মোট ১২ হাজার ৬১৯টি বাড়ি-স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ৯১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া আট হাজার ৭৬৪টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১২টি মামলায় মোট এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ৬৭২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে সাতটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে দুটি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৫২০টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সেখানে ১০টি বাড়িকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে দুই হাজার ৬১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং এক হাজার ৩০৯টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাতটি মামলায় মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মহাখালী অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট এক হাজার ৫৩০টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯৫০টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট এক হাজার ৬০৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া এক হাজার ১৭১টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট দুই হাজার ১৯টি বাড়ি-স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময়ে তিনটি মামলায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকটি খালি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের ভেতরে লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৫৮২টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সেসব স্থানে কীটনাশক ছিটানো হয়েছে।