মুন্সীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাগ্যকূলে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (৪ জুলাই) জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
মাওয়ায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেলে মাওয়ার দক্ষিণ মেদিনীমন্ডলে পানি লোকায়ে ঢুকে পড়েছে।
এতে পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের জনপদগুলো প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত পানি আসার কারণে আমন ধানসহ বহু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড়ে কান্দারবাড়ি-শরিষাবন বাঁধ ভেঙে প্রায় ১শ’ একর জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূলের আশপাশের নিম্নাঞ্চল এবং জনপদ জলমগ্ন ছাড়াও বন্যাতঙ্ক বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শুক্রবার মাওয়ায় পদ্মা পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সেটা বেড়েছে। এখানে পদ্মার পানিতে স্রোত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।