তারেককে প্রতিষ্ঠিত করতেই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১৬:০২

দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করছে রাজনৈতিক দল বিএনপি। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও তাদের আন্দোলনের মূল বিষয় ছিলো বিএনপিতে তারেক রহমানকে প্রতিষ্ঠা করা। আর এ জন্যই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন তারেক জিয়ার কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন।

দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারাদেশের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি মা বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই বিএনপির রাজনীতিতে আলাদা বলয় গড়ে তুলতে শুরু করে পুত্র তারেক রহমান। ২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান সারাদেশে দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠনসহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নেন হাতের মুঠোয়।

শুধুমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। যার ফলে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজ দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। একে একে দলের নেতারা ভিড়তে থাকেন তারেক রহমানের কাছে।

নেতাশূন্য হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া এবং তারেকের এই আধিপত্য দেখে সংস্কারপন্থীতে নাম লেখান দলের সব সিনিয়র নেতারা। সূত্রটি আরো জানায়, বিএনপির অধঃপতনের যাত্রা তখন থেকেই শুরু। দলের মধ্যে শুরু হয় বিভাজন।

খালেদা জিয়াকে রাজনীতি শূন্য করে তারেক রহমানকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ শুরু করে একটি অংশ। এর প্রভাব পড়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভরাডুবিতে ভেঙে পড়ে বিএনপি নেতারা। পরবর্তীতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তারা। এ সময় দীর্ঘদিন দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন তারেক রহমান। 

‘পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্ত হয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান তারেক রহমান। মূলত বিএনপির সময় কাটে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে। লোক দেখানো দলীয় কার্যক্রম বা কর্মসূচি চালানো হলেও অন্তরালে ছিলো তারেককে বিএনপির নেতৃত্বে বসানো। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি পান তারেক। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে পরবর্তীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সময়ে বিএনপির শীর্ষ ও প্রভাবশালী নেতা বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বিএনপির আন্দোলন বলতে কিছু ছিলো না। তিনি বলেন, এই সময়টাতে বিএনপির একটি অংশ তারেক রহমানকে দলের দায়িত্বে বসানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। যদিও আজ তারা পুরোপুরি সফল। এই সময়ে বিএনপি দেশের জনগণের জন্য বা দলের জন্য কোনো কর্মসূচি পালন করেননি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us