আমেরিকা থেকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে আরও ১৫০ জনকে

বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১১:৩৬

করোনায় লণ্ডভণ্ড কমিউনিটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বশেষ অমানবিক পদক্ষেপেরও ধাক্কা লেগেছে। গত ২৫ জুন ৮৩ বাংলাদেশিকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার পর আরো দেড় শতাধিক প্রবাসীকে আরিজোনায় জড়ো করার খবর এসেছে। দালালকে মোটা টাকা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে এরা যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত রক্ষী কর্তৃক গ্রেফতারের সময়েই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

এলডিপির কয়েকজন বাদে সকলেই নিজেকে বিএনপি অথবা যুবদল কিংবা ছাত্রদলের সংগঠক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এসাইলাম অফিসারের কাছে ইন্টারভিউ শেষে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সকলকে। এরমধ্যে বেশ ক’জন প্যারলে মুক্তি লাভে সক্ষম হলেও অবশিষ্টরা ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন সেন্টারেই রয়েছেন।

অর্থাৎ মোটা অর্থে এটর্নি নিয়োগের পর ইমিগ্রেশন কোর্টের শর্ত অনুযায়ী জামিনের বন্ড দিতে সক্ষম হননি তারা। এমনি অবস্থায় করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় ডিটেনশন সেন্টারের আরো অনেক অবৈধ অভিবাসীর সাথে বাংলাদেশিরাও পড়েছেন মহাসংকটে। যারা এটর্নি নিয়োগে সক্ষম হয়েছিলেন তারা এই করোনার মধ্যেই প্যারলে মুক্তি লাভ করেছেন। করোনার প্রকোপ চরমে উঠলে এপ্রিলের শুরুতেই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল কোর্টে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকশত অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কোর্টে হাজিরার তারিখসহ নোটিশ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ঐ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরমধ্যে কোন বাংলাদেশি ছিলেন না। কারণ, বাংলাদেশির অধিকাংশকেই টেক্সাস অথবা আরিজোনা কিংবা আলাবামা স্টেটে রাখা হয়েছে। খুব কমসংখ্যক রয়েছে নিউজার্সি এবং ফ্লোরিডা ডিটেনশন সেন্টারে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকো সীমান্ত পথে বেআইনীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারিদের এসাইলামের আবেদন প্রথম ইন্টারভিউতে বিবেচিত না হলেই দ্রুত নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার একটি রুলিং ২৫ জুন ইউএস নবম সার্কিট আপিলেট কোর্ট দিয়েছেন। এতে সেন্ট্রাল আমেরিকার লোকজনের সাথে কিছু বাংলাদেশীও বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের একটি অংশ অর্থাৎ ৮৩ জনকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন আরো ১৫০ জনকে যে কোন সময় বিমানে উঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এর আগে সংশ্লিষ্ট সকলের জাতীয়তা নিশ্চিত হতে হবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে।

দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমদ ৩ জুলাই এ প্রসঙ্গে জানান যে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে প্রায় সময়েই আটক বাংলাদেশীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়। তারা বাংলাদেশের নাগরিক কিনা সেটিও নিশ্চিত হতে চায়। ইতিপূর্বে ৮৩ জনকে বহিষ্কারের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে আর কোন চিঠি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us