অজানা কারণে মরছে শত শত হাতি, বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ০৯:৩৫

আফ্রিকার বতসোয়ানায় মাস দু’য়েকের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ হাতির। কীভাবে প্রাণিগুলো মারা গেল, তা জানে না কেউ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, হাতিরা কোনো অজানা রোগের শিকার হয়েছে। সাধারণভাবে আফ্রিকা মহাদেশে হাতির সংখ্যা কমছে বেশ কিছুদিন ধরে। মূলত চোরাশিকারীদের হাতেই মারা পড়ছে হাতিরা। কিন্তু বতসোয়ানার ছবিটা অন্য। সেখানে গত দুই দশকে হাতির সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার হয়েছে।

বতসোয়ানায় চাষিরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, হাতিরা তাদের ফসল নষ্ট করে। সেদেশের সরকার চলতি বছরে হাতি শিকারের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য শিকার শুরু হয়নি। চোরাশিকারীদের হাতে যে বতসোয়ানার হাতিগুলো মারা পড়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। কারণ মৃত হাতিদের দেহে আঘাতের চিহ্ন পায়নি কেউ। অনেক সময় খাবারে পটাশিয়াম সায়নাইড মিশিয়ে হাতিদের হত্যা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষ প্রয়োগেরও প্রমাণ মেলেনি। কারণ সেক্ষেত্রে যে শকুন ও অন্যান্য যেসব প্রাণি মৃত হাতির মাংস খায় তারাও মারা পড়ত। কিন্তু বতসোয়ানায় তেমন কোনো প্রাণিকে মরতে দেখা যায়নি। খবর বিবিসির।

অনেকে লক্ষ করেছেন, মৃত্যুর আগে হাতিগুলো টলতে টলতে হাঁটছে। মনে হচ্ছে তাদের পা অবশ হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি হাতিকে দেখা গিয়েছে গোল হয়ে একই জায়গায় চক্কর দিচ্ছে। তাদের দল এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তারা যেতে পারছে না। মনে হচ্ছে এই হাতিগুলি স্নায়ুতন্ত্রের কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

মে মাসের শুরুতে ওকাভানগো ব-দ্বীপে প্রথম অনেকগুলি হাতিকে মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মে মাসে ওই ব-দ্বীপে মারা যায় ১৬৯ টি হাতি। জুনের মাঝামাঝি মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। মৃত হাতিগুলো ৭০ শতাংশ কোনো না কোনো জলাশয়ের আশপাশে পড়েছিল।

বতসোয়ানায় হাতিদের মৃত্যু নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ব্রিটেনের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউ এর ডিরেক্টর নিয়েল ম্যাকানন বলেন, 'বহুকাল যাবৎ এমন একসঙ্গে এত হাতি মারা পড়েনি। সাধারণত খরার সময় হাতিরা মারা যায়। কিন্তু এখন খরা হয়নি। এই সময় একসঙ্গে এত হাতির মৃত্যু উদ্বেগের বিষয়।'

বতসোয়ানার পরিবেশমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃত হাতিদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডার তিনটি গবেষণাগারে সেই নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us