রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে সহসাই ক্ষমতা ছাড়ছেন না এই আলোচনা অনেকদিন ধরেই চলছে। সম্প্রতি তার তৎপরতা শুরু হয়। গদি পোক্ত করতে তিনি সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন। সেই নিমিত্তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ভোটে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে প্রায় রায় দিয়েছেন ৭৮ শতাংশ নাগরিক। ফলে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত পুতিনই থাকছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাস হওয়া সংবিধান সংশোধনের ওপর সাত দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ বুধবার শেষ হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ৭৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোটার সংবিধান সংশোধনের পক্ষে এবং ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। মোট ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ভোটের (কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বসাধারণের ভোটগ্রহণ) আইনি প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয়নি। আর তাই এই ভোট নিয়ে বিতর্ক রয়েই যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় দফায় পুতিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না পুতিন। তাই সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগ। ভোটে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে রায় আসায় তিনি আরও দুই মেয়াদে (৬ বছর করে) ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। পুতিনের আরও দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধনে এই ভোট ছিল চূড়ান্ত পদক্ষেপ।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ছাড়াও দেশটির আঞ্চলিক আইন প্রণেতারা ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি সমর্থন করেছেন। বিরোধীরা এই সংবিধান সংশোধনে ভোটের ফলাফল নিয়ে রাজধানী মস্কোতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। ভোটাররা যাতে ভোটদানে উৎসাহী হন মস্কোর কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও আঞ্চলিক সরকারগুলো নগদ অর্থসহ নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্র দিয়েছেন। এছাড়া ছিল র্যাফেল ড্র; তাতে পুরস্কার হিসেবে ছিল নগদ অর্থ এবং ফ্ল্যাটসহ আরও নানা কিছু। এদিকে দেশটির বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের ভোট প্রদানের নির্দেশ দেন বলেও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এসএ/এমকেএইচ