আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম: মনোজ বাজপেয়ী

চ্যানেল আই প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ১৩:২২

সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের নেপোটিজম এখন আলোচনায়। বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী সম্প্রতি জানিয়েছেন বলিউডে তার টিকে থাকার সংগ্রামের গল্প। ‘হিউম্যান অব বোম্বে’র সঙ্গে আলাপচারিতায় বাজপেয়ী বলেন, ‘আমি একজন কৃষকের ছেলে। বিহারের গ্রামে বড় হয়েছি পাঁচ ভাই-বোনের সঙ্গে। হাটের স্কুলে যেতাম। খুব সাধারণ জীবন ছিল। কিন্তু যখনই শহরে যেতাম, থিয়েটারে যেতাম। অমিতাভ বচ্চনের ভক্ত ছিলাম, তার মতো হতে চাইতাম। ৯ বছর বয়সে বুঝতে পারি, অভিনয়ই আমার ভবিষ্যৎ। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও মনোজ বাজপেয়ীকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়। উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লী ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর থিয়েটার করা শুরু করেন তিনি।

তার এলাকার লোকজন বলতেন ‘তাকে দিয়ে কিছুই হবে না।’ কিন্তু তাদের ভুল প্রমাণ করে সফল হয়েছেন মনোজ। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলাম, তাই আমার বন্ধুরা আমাকে একা ছাড়তো না। আমার পাশেই ঘুমাতো। আমি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় চান্স না পাওয়া পর্যন্ত তারা আমাকে সঙ্গ দিয়েছে। ব্যান্ডিট কুইন ছবিতে শেখর কাপুর আমাকে নিতে চাইছেন, এই কথা যখন জানতে পেরেছি তখন আমি এক চায়ের দোকানে বসা। বুঝতে পারি যে মুম্বাই যাওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।’

‘ব্যান্ডিট কুইন’-এ কাজ করতে মুম্বাই গেলেও প্রথম শটেই তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর মুম্বাইতে পাঁচ জনের সঙ্গে এক ছাদের নিচে একটি কক্ষে থাকা শুরু করেন মনোজ। কাজ খুঁজতেন, কিন্তু কোনো চরিত্র পেতেন না। প্রথমদিকের সেই সময়ের সংগ্রামের কথা মনে করে মনোজ বলেন, ‘একবার এক সহকারী পরিচালক আমার ছবি ছিঁড়ে ফেলেন এবং আমি একদিনে তিনটি কাজ হারাই। প্রথম শট এর পর আমাকে স্টুডিও থেকে বেরও করে দেয়া হয়। আমার চেহারা ‘নায়ক’ এর মতো ছিল না। তাই তারা মনে করতেন আমি কখনই বড় পর্দায় সফলতা পাব না। ভাড়া জোগাড় করতে কষ্ট হতো। এমনকি বড় পাও অনেক দামি মনে হতো। কিন্তু পেটের খিদা আমার সফলতার খিদাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।’ চার বছর সংগ্রামের পর মহেশ ভাটের ‘স্বভিমান’-এ একটি চরিত্রে কাজের সুযোগ পান মনোজ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us