মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছেন। চলতি অর্থবছরের ২ দিন বাকী থাকতেই গত ২৮ জুন পর্যন্ত তারা ১৮ বিলিয়ন (এক হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাধীনতার পর কোনও অর্থবছরে এতো রেমিট্যান্স আসেনি।
এই পরিমাণ রেমিট্যান্সকে তারা এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ বলছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুর দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮০২ কোটি ডলার। এই অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ের (জুলাই-জুন) চেয়েও ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার(১৬.৪১ বিলিয়ন।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রবাসীরা জুন মাসে এ যাবত কালের সবোর্চ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। তারা করোনার মধ্যেই ১ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত (২৮ দিনে) ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
যদিও গত বছরের পুরো জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর ২০১৮ সালের জুনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৩৮ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।আর এই রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। সোমবার (২৯ জুন) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন (৩ হাজার ৫৭৬ কোটি) ডলার।
দেশের ইতিহাসে এত বেশি রিজার্ভ আর কখনও ছিল না।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, প্রবাসীরা এই করোনার মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তাদের এই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে তিনটি রেকর্ড হয়েছে।