ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাতে চায় চীন, সিদ্ধান্ত জানায়নি বাংলাদেশ

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ১৩:০৫

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল হলে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটি বাংলাদেশকে দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছে চীন। তবে এই আবিষ্কারে সফল হতে বাংলাদেশকে পরীক্ষাগার হিসেবে চায় বেইজিং। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চায় চীন। এ বিষয়ে ঢাকার সাথে আলোচনাও চলছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, চীন ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করেছে। চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি। আর বড় আকারে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমোদন পেয়েছে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। পাশাপাশি বাংলাদেশেও এ পরীক্ষা চালাতে চায় দেশটি। এ বিষয়ে নানা মাধ্যমে আলোচনাও চালাচ্ছে দেশটি।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চীনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত রোগী কমে যাওয়ায় এখন দেশের বাইরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য জায়গা খুঁজছে চীন। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় বাংলাদেশকে এর উপযুক্ত মনে করছে চীন।

ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে চীনের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে অবহিত আছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন এমন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেখুন, ঘনবসিতপূর্ণ দেশ হিসেবে করোনার সংক্রমণের ভয় আমাদের বেশি। আবার মাসের পর মাস সবকিছু বন্ধও রাখা যাবে না। এমন অবস্থায় এই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ শুধু নয়, পুরো বিশ্ব এর অপেক্ষায়।’

‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতে কাজ করছে। চীন কিছুটা এগিয়েও রয়েছে। এমন অবস্থায় তারা বাংলাদেশে এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালাতে চায়। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।


তবে এ বিষয়ে আলোচনা এখনো মৌখিক পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, চীন এখনও আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়নি। তবে তারা সব ধরনের সম্ভাবনা যাচাই করছে। অন্য কয়েকটি দেশের সাথেও আলোচনা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিদেশে ওষুধ রফতানি করে থাকে। চীন বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় উতরে গেলে এদেশের এসব কোম্পানি এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি পেরে পারে। তখন বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই করোনার ভ্যাকসিনে বাংলাদেশের জনগণের অ্যাকসেসও বাড়বে।’

সরকারের অপর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা সত্য যে চীন করোনাভাইরাসের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপের জন্য জায়গা খুঁজছে। এই পর্যায়ের টেস্ট ১৫-২০ হাজার মানুষের শরীরে করতে হবে। এজন্য তারা বাংলাদেশকে উপযুক্ত ভাবছে।’

সাধারণত, যে দেশে ভাইরাস বিস্তৃত আকারে ছড়াচ্ছে, সেখানে এটি পরীক্ষা করা হয়। এতে বাস্তব জীবনে ভ্যাকসিনের প্রকৃত কার্যকারিকতা দেখা হয়ে যায়।

‘তবে সবার আগে চীনের যে প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে সেই প্রতিষ্ঠানের মতোই বাংলাদেশেও ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ফার্মের সাথে তাদের চুক্তি করতে হবে। হয়তো তারা বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করছে। এরপর সরকারের কাছে অনুমতি চাইবে,’ বলেন ওই কর্মকর্তা।

জানা যায়, বিশ্বজুড়ে এক ডজনের বেশি ভ্যাকসিন আগেভাগে আনার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন সফলভাবে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্ব পেরোতে পারেনি।বিষ্কারে...
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us