মানসিক চাপ থেকে শারীরিক যে সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ১৯:০৩

বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য, অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপ, অর্থনৈতিক সমস্যার মত বিষয়গুলো যখন ভোগাচ্ছে, তখন ঘুমে চোখ খুলে রাখাই দায় হয়ে যাচ্ছে। অথচ রাতভর ভালোভাবে ঘুম হয়েছে, তেমনভাবে ক্লান্তিবোধও কাজ করছে না। কিন্তু ঘুমের জন্য চোখ খুলে রাখা কষ্টকর হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে কি কখনও পড়তে হয়েছে? উত্তর যদি হ্যা হয় তবে জেনে রাখুন, মানসিক চাপ থেকেই এমন সমস্যার উৎপত্তি। সবার ক্ষেত্রেই যে সমস্যা এক রকম হবে তা কিন্তু নয়। মানসিক চাপ থেকে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এমন প্রধান কয়েকটি লক্ষণ জেনে নিন।

অতিরিক্ত ঘুমভাব দেখা দেওয়া
মানসিক চাপ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত ঘুমভাবের প্রবণতা দেখা দেয়। এটাকে বলা হয়ে থাকে স্ট্রেস-বেসড-ফ্যাটিগ তথা মানসিক চাপ থেকে শারীরিক ক্লান্তি দেওয়া দেওয়া। ২০১৫ সালের অ্যামেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্তত ৩২ শতাংশ মানুষ মানসিক চাপের দরুন ক্লান্তি ও ঘুমভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে।

অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ হয়ে ওঠা
মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বেড়ে যায় বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক অনুভূতিও। রাগ, হতাশা, একাকিত্ব, ভয়- এই সকল ধরণের অনুভূতিগুলো আচ্ছন্ন করে ফেলে মনকে। মনের এই নেতিবাচক অনুভূতি শারীরিকভাবেও প্রভাব ফেলে। যার ফলে বুকের ভেতর থম ধরে থাকা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীর ঘেমে ওঠার মত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে।

আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া
মানসিক চাপযুক্ত কিছু পরিস্থিতিতে ভয় সম্পূর্ণভাবে মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যার ফলস্বরূপ সাময়িকভাবে কোন কিছু বোঝার অনুভূতি কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়, শরীরে আড়ষ্টভাবে চলে আসে, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় এবং নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। মানসিক বড় ধরণের বিপর্যয়ে শরীরের এমন অবস্থায় চলে যাওয়াকে বলা হয় ডিসোসিয়েশন (Dissociation), যা বাস্তব ঘটনার দরুন বড় ধরণের শারীরিক হুমকিকে বাধাদান করে।

জ্ঞান হারানোর মত বোধ হয়
কলোরাডোর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অ্যারিয়েল শোয়ার্টজ জানান, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মুখে অনেকের চোখে ঘোলা দেখা, বমিভাব দেখা দেওয়া, সোজা হয়ে বসে থাকতে কষ্ট হওয়া এবং যেকোন মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত প্রবণতা দেখা দিতে পারে। বেশি জটিল কোন ক্ষেত্রে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) দেখা দেয়। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যাটিও দেখা দিয়ে থাকে। মানসিক চাপ বহন করার ক্ষমতা সকলের এক রকম নয়। মানসিক চাপ থেকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন সময়ে শরীর নিজ থেকে ‘শাট ডাউন’ বা বন্ধ হয়ে যায়, যা থেকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণ প্রকাশ পায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us