ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানসূচক পুরস্কার ভারতরত্ন। যারা দেশের জন্যে অনন্য কোনো কাজ করেছেন অথবা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন, তাদের কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার দাবি উঠল এই সম্মান অক্ষয় কুমার এবং সোনু সুদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। করোনা প্যানডেমিকের সংকটে দেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অক্ষয় কুমার এবং সোনু সুদ। একদিকে যেমন কেন্দ্রের ত্রাণ তহবিল এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংস্থায় আর্থিক অনুদান দিয়েছেন দু’হাত খুলে, তেমনই নিজেদের উদ্যোগে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু অসহায় মানুষের।
আর এই দুঃসময়ে এমন পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্যে ট্যুইটারে দুই নায়কের অসংখ্যা ভক্ত দাবি তুলেছেন আগামীদিনে এঁদের ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করার জন্যে। করোনার সঙ্গে মোকাবিলার জন্যে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। তাই কেন্দ্রের তরফে দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু তারকা মুক্ত হস্তে দান করেছিলেন এই তহবিলে। তবে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। হাসি মুখে ২৫ কোটি টাকা দান করেছিলেন তিনি PM Cares Fund-এ। শুধু করোনা তহবিলই নয়, এর আগে পুলওয়ামা শহিদদের পরিবারের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছিলেন অক্ষয়, তেমনই দান করেছিলেন অসম ও চেন্নাই বন্যার ত্রাণ তহবিলে।
অন্যদিকে সোনু সুদ নিজের উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সেখানেই শেষ নয়, মুম্বইয়ে যে সব কর্মীরা ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন, তাঁদের যাতে থাকা-খাওয়ার কোনও সমস্যা না হয় তা সুনিশ্চিত করতে নিজের হোটেলের দরজা খুলে দিয়েছিলেন সোনু সুদ। কিছুদিন আগেই সোনুকে ট্যুইট করেন শুভম আওয়াস্তি নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, 'আমার প্রতিবেশী সীতারামের স্ত্রী গত হয়েছেন। কিন্তু বারাণসীতে, নিজের বাড়িতে পৌঁছতে পারছে না সে। ফলে স্ত্রীর শেষকৃত্যেও যেতে পারছেন না। প্লিজ সাহায্য করুন স্যার। আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় নেই।' ওই ট্যুইট দেখে দেরি করেননি সোনু।
উত্তর দেন, 'এই ঘটনার জন্যে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। আমরা ওনাকে কালই পাঠিয়ে দেব। খুব তাড়াতাড়ি উনি বাড়ি ফিরে যাবেন। ঈশ্বর মঙ্গল করুন।' আবার অ্যাক্টর মনীশ নামে একটি ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে সোনুর উদ্দেশে লেখা হয়, 'আমার মা আপনাকে কিছু বলতে চান, আপনি শুনুন স্যার। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার মায়ের চোখে এখন খুশির জল।' সেখানেই এক মহিলা বলেন, 'আমার ছেলে আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। খুব কষ্টে পাচ্ছিলাম ছেলের জন্যে। সোনু ভাই সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে। বোনেরা রাখি পরিয়ে তারপর উপহার চায়, আমি তো কিছুই করিনি।