করোনায় বেড়েছে শিশুশ্রম, কমেছে পড়াশোনা: বিআইজিডি’র গবেষণা

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০, ১৭:৪৯

করোনার প্রাদুর্ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উল্লেখযোগ্য হারে কমছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় অন্যদিকে বেড়েছে শিশুশ্রম। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এর একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এই গবেষণা পত্রটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।গবেষণায় বলা হয়, যদিও মনে হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিজেদের পড়াশোনার সময় বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু গবেষণায় উঠে এসেছে, বাড়িতে শিক্ষার্থীদের নিজেদের পড়ালেখার হার কমেছে অনেকটাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে সরকারিভাবে টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাতেও শিক্ষার্থীরা খুব বেশি মানিয়ে নিতে পারেনি।


আগে যেখানে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনে স্কুল, কোচিং ও বাড়িতে নিজেদের পড়ালেখা মিলে ১০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র দুই ঘণ্টায়। সেই হিসেবে ৮০ শতাংশ সময় কমেছে পড়াশোনার।গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ ও ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ এই দুইটি অনুষ্ঠান দেখছে। এক শতাংশ শিক্ষার্থী যারা টেলিভিশন ক্লাসে অংশ নিচ্ছে তারা ক্লাস অনুসরণ করাকে বেশ কঠিন বলে মনে করছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময় পড়াশোনার সময় কমার বিপরীতে বেড়েছে শিশুশ্রমের হার। গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে যেখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ঘণ্টার বেশি আয়মূলক কাজে জড়িত ছিল। এখন সেই হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশে।


এই তথ্যগুলো গ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে। শহরের বস্তি এলাকার চিত্রটাও মোটামুটি একই।গবেষক নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের শিশুদের পড়াশুনায় ব্যয় করা সময় ১০ ঘণ্টা থেকে কমে ২ ঘণ্টায় নেমে গেছে। গ্রামের শিশুরা এখন পরিবারের কাজের পিছনে দ্বিগুন সময় ব্যয় করছে। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সময় না দিয়ে অন্য কাজে বেশি সময় দেওয়ায় যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ করা কষ্টসাধ্য। বাস্তবে স্কুল বন্ধ হওয়ায় ৬ ঘণ্টা বা ৫০ শতাংশ বেঁচে যাওয়া সময় আমাদের গবেষণায় অগ্রহণীয়। পরবর্তী ধাপে, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করবো।’বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, ‘আমাদের দেশের মূল শক্তি হলো কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ।

মহামারী-সৃষ্ট অনেক সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের এই মূল শক্তিটিকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সেটা হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে কিংবা, শিক্ষাখাতে ডিজিটাল ব্যবস্থার উদ্ভাবনে।’করোনা প্রাদুর্ভাবে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রভাব ও অনলাইনে পাঠগ্রহণের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা কিভাবে মানিয়ে নিতে পারছে তা দেখতে এই গবেষণাটি করে বিআইজিডি।মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট অনিন্দিতা ভট্টাচার্য, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মনতাজিমা তাসনিম এবং রিসার্চ ইন্টার্ন ফারজিন মুমতাহেনা বাংলাদেশের শহরের বস্তি ও গ্রাম এলাকার পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণাটি করেছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us