চবিতে চাঁদা না পেয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২০, ২১:০৮

ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্স অনুষদ ভবনের নির্মাণকাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর চালিয়ে শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন বলেও জানায় নির্মাণকাজে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াকুব অ্যান্ড ব্রাদার্স।

জাগো নিউজের অনুসন্ধানে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ জাগো নিউজের হাতে এসেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াকুব অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক নাঈম উল ইসলাম।

চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে নাঈম উল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রোববার (২১ জুন) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ছাত্রলীগ পরিচয়ে পাঁচজন যুবক নির্মাণাধীন ভবনে এসে হুমকি দেন। এ সময় তারা বলেন তাদের সঙ্গে আলোচনার আগ পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হবে। গতকাল সোমবার (২২ জুন) রাত ৮টা ১৫ মিনিট তারা আবার আসেন। এ সময় সাইট অফিস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করেন তারা।

ফলে নিরাপত্তাহীনতায় শ্রমিকরা মঙ্গলবার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নাঈম উল ইসলাম।

জাগো নিউজের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ৮টা ২৭ মিনিটে মেরিন সায়েন্স অনুষদের নির্মাণ প্রকল্পে ১০ জন যুবক প্রবেশ করেন। এ সময় ভেতরে বসে থাকা কয়েকজন শ্রমিককে কিছু বলতে দেখা যায় থ্রি-কোয়ার্টার পরা এক যুবককে। এরপরই শ্রমিকদের চলে যেতে দেখা যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যায় সাদা শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরা একজনের হাতে লোহার রড।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তিনটি বাইকে করে আবার নির্মাণাধীন ভবনে যান সাত যুবক। এ সময় বাইক থেকে নেমে এক যুবককে ভবনের ফটকে লাথি মারতে দেখা যায়। পরে তারা বাইক নিয়ে চলে যান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় অংশ নেয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তারা হলেন- সাবেক সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আল আমিন রিমন, আবদুল মালেক, সুমন নাছির ও সাবেক সদস্য প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়। বর্তমানে এদের কারও ছাত্রত্ব নেই। এদের মধ্যে মনসুর আলম, আবদু মালেক ও প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। অন্য দুইজন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে, এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ কোনো দায়ভার নেবে না বলে জানিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us