যুদ্ধের দামামা ভারত-চীন সীমান্তে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আর চীনেরও অনেক সেনা নিহতের দাবি করা হচ্ছে। এরইমধ্যে কূটনৈতিক ও সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চলছে। তবে উভয় দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তের দিকেই এগিয়ে আসছে। তাই সমাধান না হলেই চলবে গোলাবারুদ, কামান, এমনকি ব্যবহার হতে পারে মিসাইল। দেশ দুটির শক্তি নিয়ে অনেক বিতর্ক। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত ও চীন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে। এতে চীন জয়লাভ করে। আজ জানব সেই যুদ্ধের সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যুদ্ধের ইস্যু
২০২০ সালে সীমান্ত নিয়ে যেভাবে ভারত-চীন যুদ্ধের সম্মুখিন হচ্ছে, ঠিক তেমনি ১৯৬২ সালে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থেকেই যুদ্ধ হয়। চীন আগেই তিব্বতকে দখল করে। পরে বর্তমানে ভারতের অধীনে থাকা ‘অরুণাচল প্রদেশ’ ও ‘আকসাই চীন’কে নিজেদের পুরনো ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। এতেই সীমান্তে শুরু হয় সমস্যা। আর তা গড়ায় যুদ্ধের দিকে।
যুদ্ধরত দুই দেশকে কোন কোন দেশ সমর্থন করে
দুই দেশের যখন যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখন বিশ্বের নানা দেশ যুদ্ধরত দুই দেশকে সমর্থন দেয়। ভারতের পক্ষে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। আবার চীনের সমর্থনে এগিয়ে আসে ভারতের কথিত চিরশত্রু পাকিস্তান। ওই সময় চীনের সঙ্গে গভীর মিত্রতা গড়ে তুলে পাকিস্তান।
চীনকে নিয়ে ভারতের দুই শক্তিধরের ভিন্ন মত
যুদ্ধের আগে চীনকে অতিরিক্ত সহানুভূতি মনোভাব বা অবহেলার চোখে দেখেছিল ভারত। ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে সমর্থন করে। ভারতের চিন্তা ছিল, চীন কখনই ভারতের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনকে সহজভাবে নিয়েছিলেন। এ নিয়ে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান কোদানদেরা সুবাইয়া থিমাইয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মনোমালিন্য ছিল। কারণ সেনাপ্রধান চীনকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতেন।
এ যুদ্ধে নেহেরু কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি চীনের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানের ব্যাপারে জোর দেন। কেননা তিনি চীনের সম্ভাব্য ভারত আক্রমণ সম্পর্কে আশঙ্কা করেন।