কলকাতা: লাদাখ সীমান্তে চীনা সৈন্যর হাতে ভারতের এক কর্নেলসহ ১৯ জন সেনা নিহত হওয়ায় ক্ষোভে ফুসছে গোটা দেশ। প্রতিউত্তর দেওয়ার পাশাপাশি চীনা ব্যবসা, চীনা পণ্য বর্জন বিষয়ে আর্জি জানাচ্ছে মোদী সরকারের কাছে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামীতে সীমান্তসহ চীনের সঙ্গে কি রকম ব্যবহার করা উচিত তাই নিয়ে শুক্রবার (১৯ জুন) সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদী সরকার।ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনাসেনা ঢুকতেই পারেনি। কোনো সেনা চকও দখল হয়নি। তবে আমাদের ২০ সেনা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সেনারা যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন তাতে চীনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এ মুহুর্তে সীমান্ত রক্ষা করতে যা যা করার দরকার তাই করছে ভারতীয় সেনারা।
সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্বাভাবিক কার্যকলাপ হচ্ছে, এ ব্যাপারে কি কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না আমাদের কাছে? সরকার কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছে?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চীনে গণতন্ত্র নেই, ওখানে একনায়কতন্ত্র চলে। ওরা যেটা মনে করবে, সেটাই করতে পারে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারত জিতবে, চীন হারবে। আমরা সরকারের সঙ্গে রয়েছি। পাশাপাশি মমতা আরও বলেছেন, টেলিকম, রেল, বিমানের মতো প্রকল্পগুলোতে চীনদের বাদ দিন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ভারত। আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। ভারতীয় বাজারে বহু চীনা পণ্য রয়েছে। এটা সমস্যা। চিনা পণ্য অধিকাংশই পরিবেশবান্ধব নয়। কেন্দ্রের পাশে আমরা আছি।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, কোনো সীমান্ত লাগোয়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করা যাবে না। ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, দেশের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। বিজেডি দলের পিনাকি মিশ্র বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সরকারকে সমর্থন করবে বিজেডি।