আইসেস্কোর সংস্কৃতিমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০, ০৩:২৫

ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংগঠন ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার আয়োজনে সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতিমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বিশেষ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কোভিড-১৯ সংকটের প্রেক্ষিতে টেকসই সাংস্কৃতিক কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বুধবার (১৭ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ‘জুম’ এর মাধ্যমে তিনি এ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে যুক্ত হন।

আইসেস্কো নির্ধারিত তিন মিনিটের বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারাবিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকট মোকাবিলা ও এর তাৎক্ষণিক প্রভাব নিরসনে ইতোমধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমতুল্য প্রায় ১২ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একগুচ্ছ (১৯টি) আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যেখান থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রান্তিক শিল্পীদের উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজ ছাড়াও ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক সংঘ, প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বই ক্রয় করা হয়েছে যা সংস্কৃতি খাতকে জোরদারকরণ ও পুনর্জাগরণে সহায়তা করবে।

তিরি বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সম্পদ আহরণ এবং সুবিন্যস্ত কর্মকাঠামো তৈরি করা যা এ সংকট বিশেষ করে সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব নিরসনে সহায়তা করবে। লাইভ স্ট্রিমিং পারফরম্যান্স এবং ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাসমূহ এ সংকটে টিকে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের প্রসারে প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনা এবং জাদুঘরসমূহে ভার্চ্যুয়াল পরিদর্শন চালুর চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম গুগল আর্ট অ্যান্ড কালচার ব্যবহার করে এসব স্থাপনা ও জাদুঘরসমূহের থ্রি-ডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করা যাবে। এসব বাস্তবায়নে প্রথমত আমাদের প্রয়োজন সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। দ্বিতীয়ত নতুন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত চর্চা গ্রহণকে আমাদের স্বাগত জানানো ও সমর্থন করা। তৃতীয়ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি খাতকে টিকিয়ে রাখতে আমরা বিভিন্ন সাহিত্য ও শৈল্পিক সৃজনশীলতা ভিত্তিক কিছু প্রকল্প নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি, সম্ভাব্য অংশীজনদের নিয়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং তৈরি এবং সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us