এক বিপন্ন বিস্ময়

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২০, ০৯:৩৫

১৪ জুন বলিউডের তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর। সাধারণ মানুষের সাদাচোখে দেখলে তাঁর জীবন ছিল পরিপূর্ণ। প্রকৌশলবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষা আর অভিনয়জীবনে সাফল্য, অর্থ, যশ—সবই ছিল। তারপরও কেন এই আত্মহত্যা।

কেবল সুশান্ত সিং রাজপুত নন, এর আগেও আত্মহত্যা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস, যাঁর কমেডি অভিনয় দেখে বহু মানুষের মন ভালো হয়ে যেত। আত্মহত্যা করেছেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, যাঁর বই পড়ে সবাই নতুন প্রাণশক্তি ফিরে পায়। সারা পৃথিবীতে সুশান্তর মতো প্রায় ৬০ হাজার মানুষ প্রতিদিন নানাভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার আত্মহত্যা করেই ফেলেন। এই হিসাবে বিশ্বে বছরে ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন! জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন, ‘অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়, আরো-এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে...।’ তাই সাধারণের দৃষ্টিতে যাকে মনে হয় সদা হাসিখুশি, প্রাণচঞ্চল, সামাজিক আর অর্থনৈতিকভাবে সফল বলে মনে হয় হয়তো তাঁদের কারও কারও মনের ভেতরে থাকে সেই বিপন্ন বিস্ময় যা তাঁদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।

কী সেই বিপন্ন বিস্ময়? কেন মানুষ আত্মহত্যা করে, এ প্রশ্নের উত্তর দার্শনিক, গবেষক, সমাজবিজ্ঞানী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে কবি-সাহিত্যিকেরা পর্যন্ত খুঁজে বেড়িয়েছেন। ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডার্কহাইম তাঁর বহুল আলোচিত গবেষণায় যাঁরা আত্মহত্যা করেন, তাঁদের চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। এক. আত্মশ্লাঘায় পূর্ণ ব্যক্তি (ইগোস্টিক), যাঁরা সব সময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে—নিজের সবকিছু নিয়ে অহংবোধে ভোগে। দুই. পরার্থবাদী (অল্ট্রুস্টিক)—যাঁদের সামাজিক সম্পৃক্ততা খুব বেশি।

তিন. আত্মপরিচয়হীন (এনোমিক), যাঁরা সামাজিক রীতিনীতির ধার ধারে না—যাঁদের নেই কোনো সামাজিক বন্ধন। চার. অদৃষ্টবাদী (ফ্যাটালিস্টিক), যাঁরা সব সময় অদৃষ্টের ওপর নির্ভর করে এবং খুব কঠোরভাবে সামাজিক নিয়মকানুন মেনে চলে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ক্ষুব্ধ হয়। গবেষণায় প্রমাণিত যে মানসিক অসুস্থতা বিশেষ করে বিষণ্নতা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, আবেগের সমস্যা, মাদকাসক্তি আর সিজোফ্রেনিয়ায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। সুশান্ত সিংয়ের সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখি তিনি বিষণ্নতা রোগে ভুগছিলেন এবং এর জন্য চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিগত তিন মাসের লকডাউন আর একাকিত্ব তাঁর মধ্যে হয়তো আরও বেশি মানসিক চাপ তৈরি করেছিল। যাঁরা খুব বেশি কাজপাগল, সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের মানসিক চাপও বেশি। অনেক সময় তাঁরা একধরনের পাফরম্যান্স অ্যাংজাইটিতে ভোগেন। নিজেকে বারবার অতিক্রম করতে চান। মনের ওপর চাপ আরও বাড়ে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us