জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন এ বি এম সুমন। এরই মধ্যে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তবে করোনার জন্য অনেকটাই অনিশ্চিত ছবির শুটিং। সম্প্রতি সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমকে স্বত্ব দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত। এতে করে দীর্ঘদিন পর এসব বইয়ের স্বত্ব পেতে যাচ্ছেন শেখ আবদুল হাকিম। তবে এর আগে জাজ মাল্টিমিডিয়া চুক্তি করেছে কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে।
আলিমুল্লাহ খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা ছবির জন্য গল্প পছন্দ করেছি। সেই হিসেবে চুক্তি করেছি। এখন যেহেতু মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমকে স্বত্ব দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত, তাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হাকিম সাহেবের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করব।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের আইনগত সহায়তা প্রদানকারী ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সিনেমার ব্যাপারে জাজ মাল্টিমিডিয়া যদি শেখ আবদুল হাকিমের সঙ্গে নতুন করে চুক্তির কথা বলে থাকে, তাহলে এটি খুবই ভালো সিদ্ধান্ত।’ এই সিরিজের জন্য সেবা প্রকাশনী ও কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ‘ধ্বংস পাহাড়’সহ ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের তিনটি উপন্যাসের কপিরাইট নিয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া।
কপি রাইটস আদালতের বিচারক রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ছয় হাজার ২১১ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বইয়ের স্বত্ব দাবি করে বাদীপক্ষে শেখ আবদুল হাকিম নিজে এবং বিবাদী কাজী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত মূল রায়ে বলেন, ‘সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে কপিরাইট বোর্ড বা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যন্ত আবেদনকারী শেখ আবদুল হাকিমের দাবিকৃত ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে (কাজী আনোয়ার হোসেন) নির্দেশনা দেওয়া হলো।