টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের কারণে টেস্ট ক্রিকেট এখন উপভোগ্য ও উত্তেজনাপূর্ণ বলে মনে করেন ক্রিকেটের সাবেক তিন তারকা খেলোয়াড় ও অধিনায়ক বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার, ভারতের রাহুল দ্রাবিড় ও শ্রীলংকার অর্জুনা রানাতুঙ্গা। এএফপিকে হাবিবুল বলেছেন, টেস্ট ফরম্যাটে এখন বড় রানের পেছনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাটিং ও ফ্লাট উইকেটের অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘অতীতে প্রতিটি দল দিনে ১৫০ থেকে ২০০ রান করলেই সন্তুষ্ট থাকতো। কিন্তু বর্তমানে দিনে ৩০০ রান চায় দল। বড় স্কোরের আরও একটি কারন হলো, ফ্লাট উইকেট। আমরা সবুজ ঘাসের উইকেট দেখতে পাই। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, সীমিত ওভারের ম্যাচগুলো।’

হাবিবুলের সুরে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে ভারতের সাবেক সঞ্জয় মাঞ্জেকারের সাথে ভিডিও চ্যাটে আলাপকালে একই কথা বলেন দ্রাবিড়। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিকারার্থে বিশ্বাস করি, টেস্ট ব্যাটিং এখন অনেক বেশি উপভোগ্য, আগের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা বেশি শট খেলছে, যা দুর্দান্ত।’ টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম টেকনিক্যাল ব্যাটসম্যানের খ্যাতি পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১৬৪টি টেস্ট খেলেন তিনি।

তার ব্যাটিং গড় ছিল, ৫২.৩১। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ‘দ্য ওয়াল’ উপাধি পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। কারণ উইকেটে আকঁড়ে থাকার প্রবল ক্ষমতা ছিল দ্রাবিড়ের। টেস্টে তার স্ট্রাইক রেট ৪২.৫১ ও ওয়ানডেতে ৭১.২৩। তারপরও টেস্টে ১৩ হাজার ২৮৮ ও ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৮৮৯ রানের মালিক দ্রাবিড়।

দ্রাবিড় বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যদি, আমি আগের মত ব্যাটিং করতাম তবে টিকতে পারতাম না। বর্তমানের স্ট্রাইকের দিকে দেখুন। ভারতের জন্য দুর্দান্ত হলো, বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেন। কোহলি দেখিয়েছেন, কীভাবে তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে খেলতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমি নিজেকে কোহলি বা রোহিতের সাথে তুলনা করব না। কারণ তারা ওয়ানডে ক্রিকেটকে নতুন স্তরে পৌছে দিয়েছে।’ শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা মনে করেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য টেস্ট ফরম্যাটে আগ্রাসন তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১০ বা তার বেশি বছর আগের কথা বলা যাক, বড় শট নেয়ার জন্য ব্যাটসম্যানরা আলগা বলের অপেক্ষা করতেন, কিন্তু বর্তমানে অর্ধেক ভালো ডেলিভারিতেও শট নিয়ে থাকে।’ ১৯৮২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শ্রীলংকার হয়ে খেলেছেন রানাতুঙ্গা।