রংপুরের পীরগঞ্জে গণিতের শিক্ষক হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে এবার কুমারীমাতা এক শিক্ষার্থী অবৈধ সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেছে। ইতোপূর্বে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে জুতা মিছিলও করেছিল। উপজেলা সদরের শেখ হাসিনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত ছাত্রীকে উত্যক্তসহ যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে উপজেলা সদরের পীরগঞ্জ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে হানিফ মিয়া যোগদান করেন। এরপর থেকেই ওই শিক্ষক ক্লাসে এবং প্রাইভেট পড়ানো ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতনসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আসছে বলে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, ছাত্রী ও অভিভাবক জানায়।
এ সব ঘটনায় প্রায় অর্ধশত ছাত্রী ও অভিভাবক ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কখনো ক্ষমতার জোরে, কখনো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে, আবার কখনো হাত-পা ধরে পার পেয়েছে শিক্ষক হানিফ। এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করায় ওই ছাত্রীর অভিভাবক হানিফকে জুতা পেটা করেন। তারপরও তিনি তার যৌন লালসা চরিতার্থ করতে দিনের পর দিন নির্বিঘ্নে ছাত্রী কেলেংকারী করেই যাচ্ছেন।
একাধিক অভিভাবক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, লোকলজ্জার ভয়সহ সন্তান যেন অপমানে আত্মহত্যা না করে সে জন্য সন্তানদেরকে বুঝিয়ে নীরবে তার অপরাধগুলো সহ্য করে আসছি। আমরা তার (হানিফ) বিচার চাই। অপরদিকে ওই শিক্ষকের শাস্তি এবং অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়টির কয়েক’শ ছাত্রী উপজেলা সদরে জুতা মিছিল করে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।