অনিন্দ্যসুন্দর শহর প্যারিসকে আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে সেইন নদী। সেই নদীর পাশে আলমা ট্যানেল। আইফেল টাওয়ার থেকে তিন চার মিনিটের হাঁটাপথের দূরত্ব। একসময় আলমা ট্যানেলের নাম কেউ জানতো না। সারাবিশ্বে আজ ট্যানেলটির নাম মুখে মুখে।
এই ট্যানেল থেকে পাপারাজ্জিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হবার সময় লেডি ডায়না ও তার বন্ধু ডোডি আল ফায়েদ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে আলমা ট্যানেল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। একই সাথে প্যারিস ভ্রমণে আসা লক্ষ লক্ষ ডায়নাপ্রেমী ছুঁটে আসেন দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি দেখতে। তাদের কারণে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে ট্যানেলের ওপর স্থাপিত স্ট্যাচু ফ্লেম অফ লিবার্টির কথাও।
প্যারিস ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা আইফেল টাওয়ার ঘুরে হেঁটে হেঁটে চলে আসেন আলমা ট্যানেলের কাছে। সেইন নদীর তীরবর্তী রাস্তার ওপর ফ্লেম অফ লিবার্টির সামান্য দূরে রয়েছে ভুগর্ভস্থ আলমা মেট্রোস্টেশন। প্রায় সবাই ফ্লেম অফ লিবার্টি দেখে আলমা মেট্রোস্টেশন থেকে মেট্রো চেপে শহরে ফিরে আসেন। আমার কাজিন বাবু ও তার বন্ধু জনিসহ সেইন নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি আলমা ট্যানেলের সামনে। আমাদের তিনজনের আগ্রহ লেডি ডায়নার গাড়ির দুর্ঘটনাস্থল দেখা। একই সাথে জানার আগ্রহ মানুষ কেন ফ্লেম অফ লিবার্টিকে ডায়নার স্মৃতিস্তম্ভ মনে করে ফুল দেয়? ফ্লেম অফ লিবার্টি যে ডায়নার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নয়, এ কথাটি বেশ ক'দিন আগে বলেছিলেন প্যারিস নিবাসী আলোকচিত্রী শওকত হোসেন হাওলাদার। আমি যার হাত ধরে প্যারিস চিনেছি।