করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই তো আগের চেয়ে অনেক বেশিবার হাত ধুচ্ছি আমরা। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢোকার পরেও অনেক সাবধান হয়ে গিয়েছি। কিন্তু জানেন কি আপনার নিত্যদিনের কিছু অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে বিপদ। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এই করোনাকালে আজই বদলান ওই অভ্যাসগুলি।
আপনি কি কমোডের মুখ ঢাকা না দিয়ে ফ্লাশ করেন? আমেরিকান জার্নাল অফ ইনফেকশন কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞদের মতে, এর চেয়ে বেশি বদভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ করার অর্থ জীবাণুকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করা। পানি ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের দখলে চলে আসতে পারে আপনার সাধের বাথরুম। তাই আজই এই অভ্যাস বদল করুন।
বহু শিশুর পেন চিবনোর অভ্যাস থাকে। ওই পেনটিতে তার ফলে থুতু লেগে যায়। সঙ্গে লেগে যায় জীবাণুও। সেটি অন্য কেউ হাত দিলে ভাইরাস তার কাছে চলে যেতে বেশি সময় লাগে না। তাই পেন চিবনোর অভ্যাস আজই ছাড়ানোর চেষ্টা করুন।
আপনার খুদের কি খেলনা মুখে দেওয়া অভ্যাস আছে? থাকলে সেই অভ্যাস আজই বদলানোর চেষ্টা করুন। আর যতদিন না সে নিজে সাবধান হচ্ছে ততদিন তার খেলনা রোজ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। যাতে তা মুখে দিলেও কোনো ভাইরাস শরীরে প্রবেশে সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
রান্নাঘরের ব্যস্ততার মাঝে হাতের কাছে কাঁচি খুঁজে পাচ্ছেন না। অথচ সেই সময় দুধের প্যাকেট আপনাকে কাটতেই হবে। অগত্যা তাড়াতাড়ি করে দাঁত দিয়েই ছিঁড়ে ফেললেন দুধের প্যাকেট। ব্যস! এই কাজ করলেন মানেই ভাইরাসকে অন্যান্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার জন্য সাহায্য করলেন। তাই ভুল করেও হাজার ব্যস্ততা থাকলেও এই কাজ করবেন না।