করোনাভাইরাসের মহামারি এখনো চলছে। কত দিন চলবে, তা-ও কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না। এখন বলা হচ্ছে, নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষের খাপ খাইয়ে নেওয়ার কথা। চলে আসছে নয়া স্বাভাবিকতার প্রসঙ্গ।
এরই মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন কিন্তু মানুষের মধ্যে চলেও এসেছে। একটু মনে করে দেখুন তো, শেষ কবে বাজার থেকে এত এত কেনাকাটা একসঙ্গে করেছেন? কিংবা শেষ কবে রেস্তোরাঁয় গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খেয়েছেন? হিসাব করতে গেলে কিন্তু বেশ গন্ডগোল হয়ে যাবে। গৃহবন্দী দশার কথা ভেবে মন খারাপও হতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, শুধু মার্চ মাসেই মার্কিন মুলুকে মুদিদোকানের কেনাকাটা গত বছরের চেয়ে ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। ওদিকে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বিকিকিনি কমেছে ৬৬ শতাংশ। এপ্রিলের শেষেও মুদিদোকানে কেনাকাটা গড় বিক্রির চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি ছিল। অন্যদিকে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় তা ছিল গড়ের চেয়ে ৪৮ শতাংশ কম। আমেরিকার মতো বাংলাদেশেও চিত্র ভিন্ন হবে না, তা শুধু সাধারণ ছুটি ও তার শর্ত বিবেচনায় নিলেই বোঝা যায়।
রেস্তোরাঁ ব্যবসায় এই ভাটার টানের ঠিক বিপরীতে মানুষের ঘরে রান্না করার হার বেড়ে গেছে। কারণ, স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি মহামারির কারণে বেড়েছে অনেক গুণ। মানুষ এখন খাবার বানানোর দিক থেকে অন্যের তুলনায় নিজের ওপরই বেশি বিশ্বাস রাখছে। খাবার ও পানীয় বিপণনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান হান্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি মার্কিন নিজে রান্না করছেন এবং এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ বলছেন, রান্না করা তাঁরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি উপভোগ করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ বলছে, করোনা মহামারি মানুষের মধ্যে বেশ কিছু আচরণগত পরিবর্তন এনে দিতে পেরে। কিছু প্রবণতা এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে। এগুলো আরও প্রকট হতে পারে।