করোনায় মিনিটে আক্রান্ত দুজন, প্রতি দু’ঘণ্টায় মৃত্যু ৩ জনের
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২০, ১৭:২৪
পরিসংখ্যান এক : ৫৮২৭, ৫৫২, ৮৭৯০, ৫ ও ১৭৭। পরিসংখ্যান দুই : ১২ হাজার ২০৪, ২ হাজার ৯১১, ৫২ হাজার ৪৪৫, ৩৭ ও ৭০৯।
এ দুটি সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান গত ২ মে ও আজ ২ জুনের (এক মাস আগের তো এক মাস পরের) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা, নতুন করোানাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত, মোট শনাক্তকৃত রোগী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং সর্বমোট মৃত রোগীর সংখ্যার একটি তুলনামূলক চিত্র।
২ মে যেখানে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫, সেখানে ঠিক এক মাস পর নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯১১ জনে। এক মাসের ব্যবধানে ২ জুন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৫২ হাজারে। একইভাবে ২ মে নতুন পাঁচজনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। এক মাস পর ওই সংখ্যা দুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৭ ও ৭০৯ জনে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৭ মার্চ প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। আজ ২ মে রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াল থাবায় গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়। এ সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তে রাজধানীসহ সারাদেশের সর্বমোট ৫২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ১৪ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার ৯১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ ২ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে সর্বমোট ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।