করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে পৃথিবীতে চলছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু এই বিশেষ ব্যবস্থার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে অনেকেই। তাই আস্তে আস্তে কাজে ফিরছেন সবাই। আর কাজে ফিরতে গেলে বিভিন্ন দেশ দিয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারো শুরু হচ্ছে লাইট ক্যামেরার ঝলকানি। কিন্তু অন্তহীন অপেক্ষার শেষে হাসি ফুটবে কি সকলের মুখে? সিরিয়ালের শুটিং শুরুর নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ৩৫ জনের বেশি রাখা যাবে না ইউনিটে। এই নির্দেশিকা মেনে শুটিং শুরু হলে কোনোভাবেই দরজা খুলবে না জুনিয়র আর্টিস্টদের জন্য।
সঙ্গে পার্শ্বচরিত্রের শিল্পীরাও কোপে পড়বেন বলে আশঙ্কায় রয়েছেন। আগামী তিন-চার মাসের আগে এই অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না বলেই মনে করছেন টালিউডের অনেকেই। সিরিয়ালে জুনিয়র শিল্পীদের প্রয়োজন পড়ে ভিড় বাড়াতে। যেমন, বিয়ে, মেলা, হাসপাতাল, গ্রাম-শহর রাস্তাঘাটের লোকজন দেখাতেই এদের প্রয়োজন। কিন্তু করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুটিংয়ে এই সব দৃশ্যের কাটছাঁট করা হবে বলেই জানালেন সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজক নিসপাল সিংহ। তিনি বললেন, রিয়্যালিস্টিক শুটিং করতে হবে।
এখন অনেক বিয়েই ১০-১২ জন অতিথি নিয়ে সারা হয়, সিরিয়ালেও তা চালু হতে চলেছে। সুতরাং, কাজ হারাতে পারেন অনেক জুনিয়র আর্টিস্টই। সহমত আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, শুটিংয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে বড় কথা। এবার আলোচনা হবে, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সবটাই চেনের মতো জড়িয়ে। উত্তরণের পথ হিসেবে শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ করাতে চাইছেন প্রযোজক সুশান্ত দাস।