যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিরস্ত্র এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে চলা বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ কানাডায়। সোমবার কানাডার ক্যালগেরিতে ডাউনটাউনের সামনে প্রায় এক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। ভেনক্যুভারে আর্ট গ্যালারির সামনে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। মন্ট্রিয়লে বিক্ষোভ করায় আগের রাতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিনিয়েপোলিসে গত ২৫ মে পুলিশি হেফাজতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে টানা ছয় দিন ধরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও লুটপাট চলছে। কারফিউ জারি করেও লোকজনকে রাস্তা থেকে সরানো যাচ্ছে না। সোমবারও ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।
ফ্লয়েড হত্যার বিচার দাবিতে এ প্রতিবাদ বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কানাডায়। করোনার ছোবলকে উপেক্ষা করেই হাজার হাজার মানুষ প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় শ্লোগান দিচ্ছে।
কানাডায় রোববার বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ মন্ট্রিয়ল পুলিশ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু হলেও তিন ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভটি সহিংসতায় রূপ নেয়। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মরিচের স্প্রে এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে মন্ট্রিয়ল পুলিশ বর্ণবাদবিরােধী সমাবেশটি অবৈধ ঘোষণা এবং ১১ বিক্ষোভকারীকে আটক করে।