অন্যায়-লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরন্তন। বিশেষত সেই অন্যায় যদি ঘটে আমাদের পরিবার বা নিকটজনের ওপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিশোধ নিতে পারে না সাধারণ মানুষ, তাই অন্তত চলচ্চিত্রে দেখতে চায় অন্যায়ের প্রতিকার। বলিউড তারকা শ্রীদেবীর শেষ ছবি মমতে সে রকমই প্রতিশোধ গ্রহণের টানটান উত্তেজনায় ভরা।
মিস্টার ইন্ডিয়া হিম্মতওয়ালি বা সদমা ছবির গ্ল্যামারাস শ্রীদেবী নন, মম ছবিতে আমরা পাই এক শক্তিধর অভিনেত্রীকে। একটি কিশোরীর সৎমা হিসেবে তাকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করে এই নারী। কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই মা হিসেবে মেনে নিতে পারে না তাকে। এর মধ্যে এক পার্টিতে গণধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। আদালত দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। তখনই প্রকৃত মায়ের মতো প্রতিশোধ গ্রহণে নেমে পড়েন শ্রীদেবী। একের পর এক অপরাধী তাঁর ফাঁদে পা দেয়। এখানে একটি বিশেষ চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর অসাধারণ অভিনয়ের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। শেষ দৃশ্যে গিয়ে সৎমায়ের সঙ্গে কিশোরীর মিলে যাওয়ার দৃশ্য ফর্মুলামাফিক মনে হতে পারে, কিন্তু দর্শককে তৃপ্তি দেয়।
জজবা ছবিতেও পাওয়া যাবে না তাল, দেবদাস কিংবা মহব্বতে-এর ঐশ্বরিয়াকে। এখানে আইনজীবী হিসেবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে তাদের রোষানলে পড়েন ঐশ্বরিয়া। তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে তারা। একদিকে পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা, অন্যদিকে সন্তানকে উদ্ধার করার জন্য মায়ের আকুতি—চরিত্রের এই টানাপোড়েন তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন দারুণ অভিনয় নৈপুণ্যে। পুলিশ ইন্সপেক্টর চরিত্রে ইরফান খানের উপস্থিতি ছবির বড় আকর্ষণ সন্দেহ কী! ফলে দর্শকদের কাছে এই উদ্ধার অভিযান ও প্রতিশোধ গ্রহণের পরম্পরা হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর।আগে যে দুটি ছবির কথা বলা হলো, তাতে আমরা দেখেছি মেয়ের লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা দুই মায়ের কথা।