তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মৃত্যু হয়েছে ৫১ বছর আগে। অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর অর্ধশতাব্দী কেটে গেছে। ভাবতে অবাক লাগে, এত দীর্ঘকাল আমি বেঁচে আছি। মানিক মিয়া যখন বেঁচে ছিলেন আমি তখন পরিপূর্ণ যুবক। মনে হয় এই সেদিন, ইত্তেফাক অফিসে (পুরোনো ভবনে) আমরা তখনকার একদল ইয়ং টার্ক সাংবাদিক বসে আছি। মানিক মিয়া এলে আমাদের লেখালেখি শুরু হবে। আহমেদুর রহমান, মইদুল হাসান, বজলুর রহমান, আলি আকসাদ, আনোয়ার জাহিদ (তখনো পথভ্রষ্ট হননি)। মহিলা পাতার সম্পাদক কামরুন নাহার লাইলি—আমরা কেউ গোড়া বাম, কেউ বাম, কেউ মধ্যবাম। আমাদের মধ্যে টেবিল চাপড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে তর্ক হতো। মানিক মিয়া এলে সব তর্কাতর্কির অবসান হতো। তিনি সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লেখার সাবজেক্ট বেছে দিতেন। কিন্তু মতামত লেখকের। এত লেখার স্বাধীনতা দিতে কোনো সম্পাদককে দেখিনি। তিনি ছিলেন আমাদের মাথায় ছাতার মতো।