গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের মানুষের মধ্যে অতিসংক্রামক এক ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়ে। জীবাণুটির জিন নকশা বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য গবেষণার মাধ্যমে এর নামকরণ করা হয় নভেল করোনাভাইরাস। প্রোটিন অণু দ্বারা আবৃত মানুষের মুকুটাকৃতির এ নতুন ভাইরাস জীবাণুটি এক সূত্রাকার রাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড দ্বারা গঠিত ন্যানোমিটার আকারের একটি অতি আণুবীক্ষণিক কণিকা। বিজ্ঞানীরা রোগটির নাম দেন কভিড-১৯। যদিও এটির উৎস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে বিজ্ঞানীরা একমত যে এটি মনুষ্যসৃষ্ট কোনো কৃত্রিম ভাইরাস ন্যানোকণিকা নয়। অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই এ মহাসংক্রামক রোগটি বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে সারা পৃথিবীর ৫৯ লাখের অধিক লোক এ রোগে সংক্রমিত হয়েছে এবং কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশে এ রোগটি দ্বারা ৪০ হাজারেরও অধিক লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং ছয় শতাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে। নানা রকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বাংলাদেশে রোগটি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমে বেড়ে চলেছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। আক্রমণের এ ধারা কখন নিম্নমুখী হবে, তা বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে জনমনে প্রচণ্ড উদ্বেগ রয়েছে।