আশ্রম থেকে ডেনমার্ক: রং ও রেখায় শেফালীর গল্পকথা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০, ১৫:৩২

স্বাভাবিক হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। বিভিন্ন দেশের মানুষ হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে লকডাউন উঠে যাওয়ায়। এর কয়েক দিন আগে কথা হচ্ছিল কোপেনহেগেনের শিল্পী শেফালী রনটির সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে শেফালীর অদ্ভুত নাড়ির টান। সে রহস্য পরে না হয় ভেদ করা যাবে। তার আগে অবরুদ্ধ জীবনের নানা দিক নিয়ে তাঁর সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে, তার কিছুটা ভাগাভাগি করে নেওয়া যেতে পারে। অবরুদ্ধ জীবন তাঁর মোটেও মন্দ কাটেনি। বরং অনেকের মতোই বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। সময়টাকে কাজে লাগানোর প্রয়াস পেয়েছেন; নতুনতর বোধ, অন্যতর প্রতীতির জন্ম নিয়েছে। ক্যানভাস ভরিয়েছেন তুলির টানে। ডান হাতে ব্যথা ইদানীং কষ্ট দিচ্ছে। ফলে বাঁ হাত ব্যবহার করছেন। আর এই সুযোগ তাঁকে ক্রমেই সব্যসাচী করে তুলছে।

বাধ্যতামূলক বন্দিজীবন আমাদের উপলব্ধিকে গভীরতা দিয়েছে। অভাববোধ ভাবতে শিখিয়েছে। মৌলিক অনেক বিষয় আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। আমাদের বোধোদয় হচ্ছে। পরিবারের প্রতি মমত্ববোধ প্রগাঢ় হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এই সংকটে আমাদের কিছুটা হলেও ভাবনাহীন রাখছে, যোগাযোগকে সহজ করে দিয়ে, এভাবেই বলছিলেন তিনি, ‘অনেকেই বাইরে বেরিয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতোই। অবশ্যই নিয়ম মেনে। তবে আমি যাইনি। এই পরিস্থিতি আমাদের সবার জন্যই একটা ওয়েক আপ কল। তবে এর নেতিবাচক দিকও যে নেই তা নয়। দুঃখের বিষয় হলো, অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।’


প্রথম চার সপ্তাহ মানুষ ভুলে গিয়েছিল সবকিছু। তারা যে অসুস্থ, সেটাও। কারণ করোনাভীতি কাজ করেছে সবার মধ্যে। এই সময়টাকে ব্যস্ত জীবনের একটি বিরতি হিসেবেই দেখছেন শেফালী। কোনো তাড়াহুড়ো নয়, বরং আস্তে ধীরেই এগিয়ে নিতে চান সবকিছু। সংসারে সময় দিয়ে ফাঁক বের করে আঁকছেন। একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও চলছে। এক বন্ধুর সঙ্গে যৌথভাবে; যার মূল উপজীব্যই হলো জীবন।এমন টুকরা টুকরা নানা কথাই হয়েছে কোপেনহেগেনের চিত্রশিল্পী শেফালীর সঙ্গে; আর কথাগুলো অক্ষর দিয়ে সাজাতে যে সময় নেওয়া হয়েছে। তার মাঝেই দারুণ এক খবর দিয়েছেন শেফালী। ইউনেসকো সম্প্রতি একটি ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীর বিষয় ছিল ‘মাস্ক -আর্ট ক্রিয়েটিভিটি আন্ডার লকডাউন-ইউনেসকো অ্যান্ড মিডোজ আর্টিস্টস এগেইনস্ট কোভিড-নাইন্টিন’।

এই প্রদর্শনীতে শেফালীর মাস্ক আর্টও নির্বাচিত হয়েছে। শেফালীর হালের কথা তাঁর মুখ থেকেই আমরা সবিস্তারে শুনতে পারি। এ জন্য সে বর্ণনায় না গিয়ে বরং এই শিল্পীর শিকড়ের সন্ধান দেওয়া যাক। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামে। স্বাধীনতার বছর দুয়েক পরে। তেমনই শুনেছেন। আসল নাম মনে নেই। ছয় বছর বয়সে দাদু তাঁকে ঢাকার এক খ্রিষ্টান মিশনে দিয়ে দেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা ধরে নিয়েছিল, তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই অপবাদ বৃদ্ধ দীর্ঘদিন বয়ে বেড়িয়েছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us