‘করোনা উন্নয়ন-অর্থনীতির গল্পের দুর্বলতা উম্মোচন করেছে’

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০, ০৭:৩৪

করোনা ভাইরাস দেশের উন্নয়নের গল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতা কোথায়, তা উম্মোচন করে দিয়েছে বলে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় জানিয়েছেন আলোচকরা। শনিবার (৩০ মে) ‘করোনাকালের অর্থনীতি-করোনাত্তোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার খাত কী হওয়া উচিত’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় আলোচকরা বলেন, এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয় করোনা সংক্রমণ শুধু স্বাস্থ্যখাতে আমাদের রাষ্ট্রের অবহেলা ও মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরেছে তা নয়, উন্মোচন করেছে উন্নয়নের গল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতা কোথায়। আমাদের অর্থনীতি যে ৪টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে- রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, কৃষি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, করোনা সংক্রমণের কালে এর প্রতিটিই সংকটের মুখে। রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আয় করে যে খাত, সেই গার্মেন্টস খাতের নড়বড়ে চেহারা আর মালিকদের দায় না নেবার মানসিকতা থেকে এটা পরিষ্কার, প্রণোদনা, মুনাফা আর শ্রম শোষণের মধ্য দিয়ে বিকশিত এ খাত অর্থনৈতিক দুর্যোগে কতটা সুযোগ সন্ধানী। ৪০ বছরের শিল্প মাত্র ৩ মাসে এতটাই কাহিল হয়ে পড়েছে যে, রাষ্ট্রের প্রণোদনা ছাড়া সে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। কৃষিখাতের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচকরা বলেন, করোনায় দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে সবচেয়ে উপেক্ষিত খাত, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক। শুধু ভাতের সংস্থান করা নয়, সবজি, মাছ, ডিম, মুরগি, দুধ, মাংস, ফল কোনো কিছুরই অভাব বোধ করতে দেয়নি যে খাত, গত বাজেটেও সবচেয়ে উপেক্ষিত ছিল তা। মাত্র ৩.৫ শতাংশ বরাদ্দ এ খাতে। এছাড়া দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। দেশের অর্থনৈতিক আয়তনের ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে এই খাতের শ্রমজীবীরা। কাজ নাই তো তাদের মজুরি নাই। গত ৪ মাসে তাদের জীবন কীভাবে কেটেছে তার বর্ণনা দেওয়া কঠিন। ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, আর সব মিলিয়ে চুরিসহ দেড় লাখ টন চাল বরাদ্দ ছিল। ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তির সাড়ে পাঁচ কোটিই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের। তারা আসলে কতটুকু সহায়তা পেয়েছে তার হিসেব বের করা কঠিন।

চিকিৎসাখাতের বেহাল দশা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বহু বছর ধরে চিকিৎসা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৫ শতাংশের নিচে, জিডিপির হিসেবে ১ শতাংশের কম ০.৯ শতাংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। নিজের টাকায় চিকিৎসার খরচ নির্বাহ করার দিক থেকে বাংলাদেশের জনগণ সর্বোচ্চ খরচ করে। করোনায় কেন মানুষ টেস্ট করতে চায় না, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। একজনের টেস্ট করাতে সব মিলিয়ে ৫ হাজার টাকা এবং হয়রানির কথা এবং মাসিক আয়ের কথা তুলনামূলকভাবে আলোচনা করলে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us