মে ৩০ বাংলাদেশের মানুষের জন্য ঘোর অন্ধকারাচ্ছন অভিশপ্ত একটি দিন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৩৯ তম শাহাদতবার্ষিকী। বছর ঘুরে ঘুরে এই দিনটি যখন বারে বারে আসে, তখন আমরা কী এক মহান ভিশনারি স্টেটম্যানকে হারালাম, সেই ভাবনায় ঘুমকাড়া বিষাদে বিচলিত হয়ে উঠি। বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি কাজ করতে পেরেছিলেন, কিন্তু প্রায় পাঁচ বছরের তাঁর কাজ তাঁকে করেছে কালজয়ী এক মহাপুরুষে।
তাই ঐতিহাসিকভাবেই তাকে সামনে রেখে তাঁর দেখানো পথে নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে আমাদের আগামীর প্রতিটি ভাবনা। তিনি আমাদের অগ্রগতির "বাতিঘর"।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্য ও প্রগতির মধ্যে ঐকতান স্থাপনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সার্কের স্বপ্নদষ্টা, এশিয়ার বৃহৎ রাষ্ট্র চীন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদান ও মুসলিম দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের মধ্যে দিয়ে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি'র নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন চালানোর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস ও অকার্যকর করে দেয়া হচ্ছে।
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা দিয়ে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছিল। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে সরকার দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়।