সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে আগুন
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৯:২৯
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে বোতল নিক্ষেপ করেছে এবং মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আটলান্টায় একটি রেস্টুরেন্টেও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) মার্কিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে গত সোমবার নির্মমভাবে খুন হওয়ার জেরে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ হচ্ছে। সেই বিক্ষোভ চলাকালে একের পর এক গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের সময় তারা রাস্তায় থাকা এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়ির উপর দিয়ে লাফ দিয়ে দিয়েও গেছেন। কয়েকশ বিক্ষোভকারী সিএনএন সদর দপ্তরের বাইরে পুলিশের মুখোমুখি হয়। ধীরে ধীরে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা সেখানে বাড়তে থাকে। তারা সিএনএন এর লোগোর ওপর রঙ দিয়ে নিজেদের প্রতিবাদলিপি আঁকে। প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটকের কাচও তারা ভাঙচুর করে। পুলিশ সতর্ক করে দিয়ে বলে, যদি বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে চলে না যায়, তাহলে আটক করা হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারী সেসবের তোয়াক্কা না করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
এ সময় মার্কিন পতাকাও পোড়ানো হয়। জানা গেছে, জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কেও শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন। তবে সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এদিকে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিনেসোটার গভর্নর কারফিউ জারি করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের জেরে পুলিশ স্টেশনে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারো সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালেও বিক্ষোভ হয়েছে। তবে উল্টো সুরও শোনা যাচ্ছে।