অনুমোদন নিয়েই রোগী সেজে দেশ ছেড়েছেন সিকদারের দুই ছেলে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ০৮:৩৬

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি, সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার রোগী সেজে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। নিজেদের মালিকানাধীন আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনের একটি উড়োজাহাজকে 'রোগীবাহী' হিসেবে দেখিয়ে ২৫ মে দুপুরে তাঁরা ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অনুমোদন নিয়েই দেশ ছেড়েছেন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি দুই ভাই।

সুস্থ মানুষকে রোগী সাজিয়ে কী করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হলো—প্রশ্ন করা হলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল-আহসান প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা গেছেন তাঁরা চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্রের ভিত্তিতে অনুমোদন নিয়েই গেছেন।

সিকদার গ্রুপের মালিক জয়নাল সিকদারের ছেলে এবং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালক। শুধু তাই নয়, তাঁরা দুই কর্মকর্তাকে বনানীর বাসায় জোর করে আটকে রেখে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে সই নেন।

জানা গেছে, ২৫ মে দুই ভাই আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশনের একটি উড়োজাহাজকে তাঁরা 'রোগীবাহী' হিসেবে উল্লেখ করেন। আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দুটি উড়োজাহাজ ও সাতটি হেলিকপ্টার রয়েছে, যেগুলো ভাড়ায় চালানো হয়। উড়োজাহাজ দুটির একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান হকার বিচক্র্যাপ্টের তৈরি 'হকার-৮০০' মডেলের ও অন্যটি ইতালির তৈরি পিয়াজিও। 'করপোরেট জেট' হিসেবে পরিচিত এসব উড়োজাহাজে রোগী বহন করার সময় আসন খুলে রোগীর জন্য বিশেষভাবে নির্মিত বিছানা যুক্ত করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে নিয়মিত উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে বাংলাদেশের লোকজনকে আনা আর বিদেশিদের বাংলাদেশের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় অনুমতি দিচ্ছে। ওই অনুমতির আওতায় থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্য পরিবহনকারী উড়োজাহাজকে বাইরে রাখা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাঁচানোর স্বার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি সিভিল এভিয়েশন বা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে দেয়। যদিও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে ক্যানসার আক্রান্ত এক বাংলাদেশিকে দেশে আনা, তুরস্কের এক মুমূর্ষু রোগীকে ইস্তাম্বুল পাঠানো আর ব্যাংকক থেকে এক রোগীকে বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়টি দেখভাল করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us