প্লাজমা থেরাপির সুফল সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও প্লাজমা থেরাপি সাব কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে যদি কারো শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যায় তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি আরো বলেন, ন্যাশনাল এক্সপান্ডেট অ্যাক্সেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্লাজমা থেরাপির সুফল বা এর কার্যক্রম যেন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারি এজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর কাছ থেকে যে প্লাজমা নেয়া হয় তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিবডি থাকে। যা করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে গিয়ে ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
তখন ভাইরাসটা আর কোষের মধ্যে ঢুকতে পারে না। দেখা গেছে যদি কোনো করোনা রোগীকে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমরা এই প্লাজমা থেরাপি দিতে পারি তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, আর করোনা রোগী যখন আইসিইউতে চলে যায় অথবা যখন ভেন্টিলেটরে থাকে তখন তার ফুসফুস অনেক ড্যামেজ হয়ে যায়।